সংগীত কুমার বিভাগ, কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়:জুয়া হলো এমন একটি খেলা যেখানে মুহূর্তে কেউ শূন্য থেকে লাখপতি ও লাখপতি থেকে শূন্যের কোটায় নেমে আসতে পারে! আমাদের মধ্যে কে না বিপুল অর্থের মালিক হতে চায়? তাও সেটা যদি হয় স্বল্প পরিশ্রমে, সহজ পন্থায় তাহলে তো কোনো কথায় নেই! বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে বিশেষ করে তরুণ ও যুবসমাজ স্মার্ট ফোনের বদৌলতে, লোভের বশবর্তী হয়ে, সহজে বিপুল অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে অনলাইন ক্যাসিনো এবং বেটিং অ্যাপগুলোর পাতানো ফাঁদে পা দিচ্ছে। প্রথম দিকে তারা কিছুটা লাভবান হলেও পরবর্তীতে খোয়াচ্ছেন হাজার হাজার টাকা। ফলে প্রতিনিয়ত পারিবারিক অশান্তি ও দাম্পত্য কলহের ঘটনা বাড়ছে। বাড়ছে চুরি ও ডাকাতির সংখ্যা। যার চূড়ান্ত পরিণতি খুনোখুনি পর্যন্ত রূপ নিচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যমতে, দেশ থেকে বছরে দুইশ’ কোটি টাকার বেশি বিদেশে পাচার হচ্ছে। যা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বাধা ও মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মতো মারাত্মক সমস্যাগুলো সৃষ্টি করছে। দুঃখের বিষয় এসব নিষিদ্ধ বেটিং অ্যাপগুলোর বিজ্ঞাপন ও প্রচারে অংশ নিচ্ছেন জনপ্রিয় ক্রিকেটার থেকে বিনোদনকর্মীরা।
সামাজিক এই ব্যাধিটি ধীরে ধীরে জাতীয় সমস্যায় রূপ নিচ্ছে। দেশের তরুণ সমাজকে এই ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য, দ্রম্নত এর বিহিত প্রয়োজন। সেজন্য প্রশাসনের পদক্ষেপের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও সচেতন হতে হবে।