দৈ. কি.ডেস্ক : ষাঁড়ের লড়াই। দর্শকদের জন্য মনোরঞ্জনের একটি খেলা হয়ে থাকলেও বিশ্বে নিষ্ঠুর বা বিকৃত মানসিকতার খেলা এটি। হাজার বছরের পুরোনো এই খেলার মাধ্যমে প্রাণীগুলোকে হত্যা করা হয়। দীর্ঘদিন ধরেই এ খেলা বন্ধের জন্য আন্দোলন চলছিল। অবশেষে পুরো বিশ্বে না হলেও অন্তত এক জায়গায় তাদের আন্দোলন সফল হল।
বিভিন্ন আলোচনা সামালোচনার পর ষাঁড়ের লড়াই নিষিদ্ধের বিল পাস করেছে কলম্বিয়ার সরকার। মঙ্গলবার এ বিষয়ে কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষে একটি বিল পাস করা হয়েছে। কলম্বিয়ার কংগ্রেসের আইনপ্রণেতা জন কার্লস বলেছেন, সাত বছর ধরে লড়াই করার পর আমরা আজ (মঙ্গলবার) এই বিলটি পাস করেছি। আমরা এ দেশের হাজার হাজার জণতাকে বলতে চাই যারা ষাঁড়ের পিঠে চড়ার মতো পশু নির্যাতনকে ভালোবাসে তারা একটি অপসংস্কৃতি লালন করে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষে এ বিলের পক্ষে ভোটাভুটির পর এই বিল পাসের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কলম্বিয়াতে দীর্ঘদিন ধরেই ষাঁড়ের লড়াই নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে তর্ক চলেছে। এরপর গতকাল সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে দেশটিতে ষাঁড়ের লড়াই নিষিদ্ধ করে সরকার। নিষিদ্ধের পক্ষে ভোট পরে ৯৩টি অন্যদিকে বিপক্ষে ভোট পরে মাত্র ২টি। দেশটিতে ষাঁড়ের লড়াই খেলাধুলা ও বিনোদনের একধরণের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচনা করতেন কেউ কেউ। তবে এটি পশুর প্রতি অমানবিক আচরণ বলে যুক্তি দেখিয়েছে নিষিদ্ধের পক্ষে থাকা আইনপ্রণেতারা।
তবে এই আইন বাস্তবায়িত করতে যে অর্থের প্রয়োজন তা কোথা থেকে আসবে সে বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এছাড়া যারা এই খেলাকে তাদের জীবিকার বাহন করেছিলেন তাদের কি হবে? সরকারকে সে বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
সরকার দেশটির চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিদের আহ্বান জানিয়েছেন তারা যেন এই খেলার সঙ্গে জড়িতদের চাকরি দিয়ে সহযোগীতা করেন। মূলত দেশটিতে ষাঁড়ের লড়াই উপভোগ করার জন্য হাজার হাজার মানুষের ভিড় হতো। যাতে খেলার সাথে সংশ্লিষ্টদের জীবিকার বাহন হয়ে দাঁড়ায় এই খেলা। তবে সরকারের বর্তমান আইনের মাধ্যমে এই খেলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হয়েছে। যাতে সংশ্লিষ্টদের কর্মহীন হয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।