ওপেনার রনি তালুকদার আউট হলে ৩ নম্বরে ব্যাটিং করতে নামলেন সাকিব আল হাসান। এমন দৃশ্য স্বাভাবিক হলেও, এবারের বিপিএল-এ ছিল ভিন্নতা। ৮ নম্বর হিসেবে ব্যাটিংয়ে নেমেছেন সাকিব আল হাসান, আবার কোনো ম্যাচে ৮ উইকেট পড়ে গেলেও নামেননি। এমন ঘটনাও ঘটেছে এবার। চোখের সমস্যায় অনেকদিন ধরেই ঠিকমতো ব্যাটিং করতে পারছেন না তিনি। যে জন্য ৬ ম্যাচ খেলে ৩টিতেই ব্যাটিংয়ে নামেননি দেশের অন্যতম সেরা এই ক্রিকেটার। অবশেষে সাকিবের ব্যাটে রানের দেখা মিললো, আর সেটা বেশ আগ্রাসী ভঙ্গিতেই। ২০ বলে ৩ ছক্কায় করেন ৩৪ রান।
গতকাল দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষেও শুরুতে খুব একটা স্বস্তিতে ছিলেন না সাকিব। ব্যাটে-বলে ঠিকমতো টাইমিং করতে পারছিলেন না। দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, যেটা করতে চাচ্ছেন সেটা হচ্ছে না।তবে সাকিব চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। এক পর্যায়ে তার রান ছিল ১৪ বলে ১১। এরপর আক্রমণ করা শুরু করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তাতে অবশ্য প্রথম শটেই ভাগ্যের সহায়তা পান সাকিব। চতুরঙ্গা ডি সিলভাকে ব্যক্তিগত ১৫ রানে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বল তুলে দেন উপরে। কিন্তু বাউন্ডারিতে সহজ ক্যাচ হাতে জমাতে পারেননি ঢাকার আফগান অলরাউন্ডার গুলাবদিন নাইব। সেটা আবার ছয়ও হয়। পরের ওভারে মোসাদ্দেক মারেন আরও একটি ছক্কা। তবে তাকে আবার পরের বলে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন মিড উইকেটে। সর্বশেষ ম্যাচে চার নম্বরে নেমেছিলেন, তবে রান করার আগেই আউট হয়েছেন। ৩৪ রানের ইনিংসের আগে তাঁর আগের সর্বোচ্চ রান ছিল ২। এই ইনিংসের আগে এবারের বিপিএল-এ সাকিবের রান ছিল মোট ৪ (২, ২, ০)। তাই শুধু বোলার সাকিবকেই পাচ্ছিল রংপুর। বল হাতে ৫ ইনিংসে নিয়েছেন ৬ উইকেট। সর্বশেষ ম্যাচেও বল হাতে ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন। কালও বল হাতে জ্বলে উঠেছিলেন সাকিব। ১৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ব্যাট হাতে ৩৪ আর বল হাতে তিন উইকেট নিয়ে সাকিব হয়েছেন ম্যাচ সেরা।