দৈ. কি.ডেস্ক : সরকার পতনের একদফা দাবিতে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনকে আরও বেগবান করার জন্য যুগপতে থাকা শরিক দল ও জোটগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে ‘নৈতিকতাহীন অর্থনীতির সালতামামি’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ আহ্বান জানান।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের দেশটাকে ফতুর করে ফেলা হচ্ছে। আমরা এখান থেকে বাঁচতে চাই। বাঁচতে হলে উপেক্ষিত এবং বঞ্চিত জনগণ যারা তাদেরকে জাগ্রত করা এবং তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে গণআন্দোলনের কোন বিকল্প নাই। সেই লক্ষ্যে আমি আহ্বান জানাবো, আসুন- আমরা আরও ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই আন্দোলনটাকে আরও বেগবান করি এবং জনগণকে মুক্ত করার চেষ্টা করি।
তিনি বলেন, এই সরকার জনগণের সরকার না, এই সরকার ওই উৎপাদকেরও না, এই সরকার ভোক্তারও না, এই সরকারে কৃষকেরও না, এই সরকার শ্রমিকেরও না। হাতেগোনা অল্প কিছু মানুষ সুবিধা পাচ্ছে। এরাই এই সরকারের শক্তি। এদেরই এই সরকার। এরাই সরকার।
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আমার আজকে এমন একটা সরকারের বাজেট নিয়ে আলোচনা করছি, যে সরকারের বাজেট দেয়ার কোন ম্যান্ডেট নেই। কিন্তু যে করেই হোক তারা জোর করে ক্ষমতায় আছে এবং বাজেট দিচ্ছে।
সরকারি হিসাবে চিকিৎসা করাতে গিয়ে বাংলাদেশের ৮৬ লাখ মানুষ আরও দরিদ্র হয়ে গেছে বলেও জানান নজরুল ইসলাম খান।
সভাপতির বক্তব্যে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ এবং সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদদের মতো লোকদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে সরকার। আর অর্থনীতিতে কোন শৃঙ্খলা আনতে পারেনি তারা। কালো টাকা বন্ধ করতে পারবে? কোন ব্যবস্থা আছে? আর এই একবছর পর্যন্ত কী ওরা (সরকার) ক্ষমতায় থাকতে পারবে? এই একবছর যদি থাকে তাহলে এই বাজেটও একবছর চলবে।
তিনি বলেন, নিজের বাঁচার জন্য হলেও আন্দোলন করতে হবে। কেউ কেউ বলেন, আন্দোলন কেনো করবে। আওয়ামী লীগকে ফেলে দিবেন তাই তো? তারপরে কে আসবে, বিএনপি? একই তো হবে। আমরা বলছি, এটা আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বদলের লড়াই না। এটা আপনার বাঁচার লড়াই। আর এই আন্দোলন লাগাতালভাবে চলবে। যতক্ষণ না পর্যন্ত বিজয় অর্জন করতে না পারি ততক্ষণ পর্যন্ত লড়াই অব্যাহত থাকবে।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।