জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি। দীর্ঘদিন পর আবারও গানের ভুবনে জ্বলে উঠলেন তিনি। এরইমধ্যে প্রকাশ হয়েছে তার একে একে চারটি গান। গানগুলো হলো হাবিব ওয়াহিদের সঙ্গে ‘জোনাক জ্বলে’, হৃদয় খানের সঙ্গে ‘আলিঙ্গন’, এহসান রাহির সঙ্গে ‘সাতটি মাস’ ও কিশোর দাসের সঙ্গে ‘শুধু দুজনার’। প্রতিটি গানই দ্বৈত। এটিকে ন্যান্সি অন্যরকম একটি অভিজ্ঞতা বলে জানান। তার ভাষ্য, অনেকদিন পর কোনো উৎসবে একসঙ্গে আমার এতগুলো গান প্রকাশ হয়েছে।
তারমধ্যে সবগুলোই আমি দ্বৈত গেয়েছি। তবে এটি হয়েছে শুধু সুরকার ও প্রকাশকরা চেয়েছেন বলেই। আমি শিল্পী হিসেবে চেয়েছি গানগুলোকে ভালোভাবে গাওয়ার জন্য।’ প্রকাশিত গানগুলো নিয়েও বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন শিল্পী। তিনি বলেন, হাবিব-ন্যান্সির গানের প্রতি শ্রোতাদের সব সময় অন্যরকম আগ্রহ থাকে। সেদিক থেকে ‘জোনাক জ্বলে’ এ গানটির জন্য ভালো সাড়া পাচ্ছি। এরমধ্যে এবার নতুন করে আমার সঙ্গে শ্রোতারা পেয়েছেন হৃদয় খানকে। আমাদের দুজনের প্রথম গান ‘আলিঙ্গন’।
এ গানটি আমার জন্য স্পেশাল। শ্রোতারা কেমনভাবে নেবে সেটি নিয়ে কিছুটা দ্বিধায় ছিলাম। তবে শ্রোতাদের ভালো রেসপন্সে এখন আমার নিজেরও ভালো লাগছে। ‘সাতটি মাস’ গানটি অন্য গানগুলো থেকে একটু ব্যতিক্রম। আমার খুব কাছের মানুষদের কাছ থেকে এটির জন্য বেশি প্রশংসা পাচ্ছি। যদিও এ গানটির ভিউ খুব বেশি নেই।
কিশোরের সঙ্গের গানটিও দারুণ হয়েছে। ন্যান্সির কথার সূত্র ধরে ভিউর বিষয়টি কথা হয়। এ সময়ে অনেক ভালো গানেরই বেশি ভিউ হচ্ছে না। এতে কি সংগীতে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে? উত্তরে তিনি বলেন, ‘দিন শেষে ভিউ পৃৃষ্ঠপোষকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করি। যিনি একটি গানে লগ্নি করছেন তিনি যদি বাণিজ্যিকভাবে সফল না হন তাহলে পরবর্তী কাজের জন্য আগ্রহী হবেন না। সত্যি বলতে, চারদিকে চলছে নোংরা বিষয়ের চর্চা আর মাতামাতি, যা আমাদের রুচিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
এগুলোর কারণে অনেক ভালো লেখক আড়ালে চলে গেছেন। এভাবে চলতে থাকলে সত্যিই একদিন সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে। রুচির দুর্ভিক্ষ কখনও ফুরাবে না।’ এদিকে অডিও গানের বাইরে সিনেমাতেও গান করছেন এ কণ্ঠশিল্পী। সম্প্রতি তিনি ইমনের সংগীত পরিচালনায় ‘লিপস্টিক’ ছবিতে প্লেব্যাক করেছেন। গানের টাইটেল ছিল ‘নিন্দুকে’। এতে তার সঙ্গে আরও গেয়েছেন ইমরান।