দৈ. কি.ডেস্ক : ২০২০ সালে অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তানজিম হাসান সাকিব। বাংলাদেশকে প্রথম বৈশ্বিক শিরোপা এনে দেওয়া সেই দলটিই এখন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে মূল জাতীয় দলকে। তাওহীদ হৃদয়, শরিফুল ইসলাম, তানজিদ হাসান তামিমরা সেখান থেকেই উঠে এসে হয়েছেন জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ। এদেরই একজন তানজিম হাসান সাকিব।
গেল বছর জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয়েছিল এই পেসারের। এশিয়া কাপে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেকে তিলক ভার্মাকে বোল্ড করে এসেছিলেন নজরে। এরপর থেকেই রয়েছেন জাতীয় দলের সঙ্গে, খেলছেন নিয়মিত। আগ্রাসী মনোভাব আর উইকেট শিকারের সহজাত ক্ষমতা তাকে নিয়ে উচ্চাশা বাড়িয়েছে।
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টাইগার দলে রয়েছেন সাকিব। শেষ সময়ে দলে এসেছিলেন জুনিয়ার সাকিব। তাকে দলে নেয়ার প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচকের বক্তব্য ছিল, দলের প্রতি নিবেদনের দিক বিবেচনায় এই পেসার যাচ্ছেন বিশ্বকাপে।
বিশ্বকাপ সামনে রেখে দলে থাকা ক্রিকেটারদের সাক্ষাৎকার প্রচার করছে বিসিবি। বৃৃহস্পতিবার সেই ভিডিওতে সাকিব বলেছেন নিজের অনুভূতির কথা। এর আগে ওয়ানডে বিশ্বকাপেও ছিলেন। তারপরেও তানজিম সাকিবের কণ্ঠে শোনা গেল স্বপ্নপূরণের কথা, ‘প্রত্যেক খেলোয়াড়ের স্বপ্ন থাকে নিজের দেশের হয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করার। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকাটা আমার কাছে স্বপ্নের মতো।’
সাকিব বরাবরই আগ্রাসী মনোভাবের। ব্যাটারদের চোখে চোখ রেখেই চলেন সবসময়। তরুণ এই পেসারের এবারের লক্ষ্যটাও কেবল আধিপত্য দেখানো, ‘এটা শুরু থেকেই ছিল। আমি যখন অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট খেলি, তখন থেকে আমার লক্ষ্য ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলব। কখনো আমার আত্মবিশ্বাস কম ছিল না, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারব না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য নিজেকে সেভাবেই তৈরি করেছি। আমার লক্ষ্যই এই পর্যায়ে আধিপত্য দেখানো।’
বিশ্বকাপে যে কোনো দলকে হারানোর কথাও বলছেন সাকিব, ‘আমাদের দল নিয়ে আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী। আমাদের দল মানসিকভাবে দৃঢ় আছে, বন্ডিংও খুবই শক্তিশালী। আমরা চাইলে যেকোনো দলকে হারাতে পারি। আমাদের ১১ জন যদি মাঠে সেরাটা দিতে পারে, তাহলে কোনো দল আমাদের সামনে ব্যাপার না ইন শা আল্লাহ। আমরা যেকোনো দলকে হারানোর দক্ষতা রাখি।’