দৈ. কি.ডেস্ক : ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির আমন্ত্রণে শুক্রবার কিয়েভ সফরে যাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ইউক্রেনের পাশাপাশি মোদি পোল্যান্ডেও যাবেন। কয়েক সপ্তাহ আগেই মোদি রাশিয়া গিয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সে সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে মোদির জড়িয়ে ধরার ছবি নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছিল ইউক্রেন।
ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ। ইউক্রেন সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে একবারের জন্যও রাশিয়ার নিন্দা করেনি। তারা বারবার আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথা বলেছে।
রাশিয়া যে শুধু ভারতে অন্যতম বড় অস্ত্রসরবরাহকারী দেশ তাই নয়, সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে তারা দিল্লিকে কম দামে অশোধিত তেল সরবরাহ করছে।
তবে একটা বিষয় নিয়ে দিল্লি ও মস্কোর মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। সেটা হলো, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীতে সাহায্যকারীর চাকরি করতে যাওয়া ভারতীয়দের যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠিয়ে দেওয়া নিয়ে। দিল্লির অনুরোধ ছিল, মস্কো যেন তাদের ভারতকে পাঠিয়ে দেয়। অন্ততপক্ষে পাঁচজন ভারতীয়র সংঘাতে মৃত্যু হয়েছে।
মোদির এই সফর এমন একটা সময়ে হবে, যখন ইউক্রেন কুরস্কে রাশিয়ার সীমান্তে ঢুকে কিছুটা জায়গা দখল করে নিয়েছে।
ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি দাবি করেছেন, ইউক্রেনের সেনা এখন কুরস্কের ৯২টি বসতি নিয়ন্ত্রণ করছে। তিনি শরিক ও সহযোগী দেশগুলোকে অনুরোধ করেছেন, ইউক্রেন পশ্চিমা দেশগুলো থেকে পাওয়া অস্ত্র রাশিয়ায় ব্যবহার করতে চায়, তারা যেন সেই অনুমোদন দেয়।
জেলেনস্কি সোমবার দাবি করেছেন, ইউক্রেনের সেনা এক হাজার ২৫০ কিলোমিটারেরও বেশি এলাকা দখল করে নিয়েছে। ৯২টি বসতি এলাকা এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।