দৈ. কি.ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা সাব-রেজিস্টার শরীফুল ইসলাম
অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে সাব-রেজিস্টার ইটনারও দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সেই দায়িত্ব পালনে তিনি দলিল লিখক সিন্ডিকেটের সাথে আঁতাত করে গড়ে তুলেছেন প্রতারণা আর দূর্নীতির আখড়া।
তেমনি একটি লিখিত অভিযোগ সাবরেজিস্টার শরীফুল ইসলাম ও দলিল লিখক শাহআলম ঠাকুর বিরুদ্ধে করেছিলেন জনৈক ভুক্তভোগী হযরত আলী। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা রেজিষ্টার, ইটনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইটনা সেনা ক্যাম্পে তার দেড় লাখ টাকা প্রতারণা করে সাবরেজিস্টার ও দলিল লিখক সিন্ডিকেট হাতিয়ে নেয় মর্মে লিখিত অভিযোগ করেন।
যদিও টাকা ফেরত দিয়ে আপোষের নামে অভিযোগের বিষয়টি সম্পূর্ণ এরিয়ে এবং ঘুরিয়ে এ প্রত্যাহার নামাটি তৈরি করা হয়েছে যা সম্পূর্ণ বিষয়টি দামাচাপারই নামান্তর বলে সচেতন ইটনাবাসীর অভিযোগ। তাদের দাবি অন্তত তদন্ত সাপেক্ষ প্রকৃত প্রতারণা ও দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা দরকার।
এ বিষয়ে দৈনিক স্বাধীনমত, দৈনিক সকালের সময়, দৈনিক আজকের দর্পন, দৈনিক ভোরের কাগজসহ আর কয়েকটি জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে সচিত্র সংবাদ প্রকাশ হলে সুচতুর সাব-রেজিষ্টার ও দলিল লিখক অভিযোগকারীর হাতিয়ে নেয়া দেড় লাখ টাকা ফেরত দিয়ে একটি অভিযোগ প্রত্যাহারনামা তৈরি করে কয়েকজন স্বাক্ষীসহ হযরত আলীর ছেলে ও ভাইয়ের স্বাক্ষর নিয়ে বেগডেইট বসিয়ে সবাইকে বলছে সব সমাধান হয়গেছে।
এমনই একটি প্রত্যাহারনামা গণমাধ্যম হাতে আসায় অনুসন্ধান আর পর্যবেক্ষণে বেরিয়ে আসে অভিযোগকারী হয়রত আলী আর প্রত্যাহারকারী হয়রত আলীর স্বাক্ষরের মিল নেই। এ বিষয়ে অভিযোগকারী হযরত আলী গণমাধ্যমকে বলেন, প্রত্যাহার কপিতে দেয়া স্বাক্ষরটি আমার নয়। এছাড়াও আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। আমার ভাই আর ছেলে এই সময় তাদের সাথে ছিল। তবে আমি আমার টাকা ফেরত পেয়েছি।
অভিযোগ প্রত্যাহারের বিষয়ে জানতে দলিল লিখক শাহআলম ঠাকুরকে মোবাইলে পাওয়া যায়নি।
অভিযোগ প্রত্যাহারের কপিতে অভিযোগকারীর জালস্বাক্ষরের বিষয়ে সাব-রেজিস্টার শরীফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। এটা সম্পূর্ণ দলিল লিখকের বিষয়।