ঢাকা১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  1. ! Без рубрики
  2. Echt Geld Casino
  3. test2
  4. অপরাধ
  5. অর্থনীতি
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আরো
  8. এক্সক্লুসিভ
  9. খেলাধুলা
  10. জাতীয়
  11. তথ্য প্রযুক্তি
  12. দেশজুড়ে
  13. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  14. বাণিজ্য
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ইতিহাস গড়া জয় টাইগারদের

admin
আগস্ট ২৬, ২০২৪ ১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

দৈ. কি.ডেস্ক : রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে শেষ দিনের খেলা শুরুর সময়ও সবচেয়ে সম্ভাব্য ফল ছিল ‘ড্র।’ কিন্তু অনুমিত সেই চিত্রনাট্য বদলে দিলো বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত বোলিং আর গোটা দলের উজ্জীবিত পারফরম্যান্সে ধরা দিলো অবিস্মরণীয় এক জয়। টেস্টে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারিয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। নিজেদের সুদীর্ঘ টেস্ট ইতিহাসে দেশের মাঠে প্রথমবার ১০ উইকেটে হারের তেতো স্বাদ পেলো পাকিস্তান।
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে মুশফিকুর রহীমের ১৯১ রানের ম্যারাথন ইনিংসের সঙ্গে সাদমান ইসলাম, মেহেদি হাসান মিরাজদের কার্যকর ব্যাটিংয়ের হাত ধরে যে ভিত গড়া হয়, সেটিকে শেষ দিনে পূর্ণতা দেন বোলাররা। বল হাতেও জ্বলে ওঠেন মিরাজ। সাম্প্রতিক সময়ে যার বোলিংয়ের ধার হারিয়ে গিয়েছিল, সেই সাকিবও এ দিন ফিরে পান ক্ষুরধার চেহারা। দুজনে মিলে শিকার করেন সাত উইকেট। বাকি তিন উইকেট নিয়ে অবদান রাখেন তিন পেসারও। আগের দিন শেষ বিকালে ১০ ওভার বোলিংয়েই বেশ আগ্রাসন ও উজ্জীবিত মানসিকতার ছাপ রাখেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। শেষ দিনেও তারা ধরে রাখেন সেই ধারা।

দিনের শুরুতে বাংলাদেশের জন্য জরুরি ছিল দ্রুত উইকেট নেওয়া। দলকে কাঙ্ক্ষিত সেই উইকেট এনে দেন হাসান মাহমুদ। নিজের প্রথম আর দিনের দ্বিতীয় ওভারে তিনি ফিরিয়ে দেন পাকিস্তানি অধিনায়ক শান মাসুদকে। চারে নামা বাবর আজম জীবন পান প্রথম বলেই। এই টেস্টে দুর্দান্ত কিপিং করা লিটন কুমার দাস ছেড়ে দেন আপাত সহজ ক্যাচ। প্রথম ইনিংসে বাবরকে আউট করা শরিফুল ইসলাম এবার বঞ্চিত হন। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান রক্ষা পান ‘পেয়ার’ বা দুই ইনিংসেই শূন্যতে আউট হওয়া থেকে। জীবন পেয়ে বাবর বেশ আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন। আব্দুল্লাহ শাফিকের সঙ্গে তার জুটি জমে উঠতে থাকে। তবে তা বেশ বড় হতে দেয়নি নাহিদ রানার গতি। তরুণ এই ফাস্ট বোলার এ দিন ১৪৫ ছাড়িয়েছেন নিয়মিতই, ১৪৯.৯ কিলোমিটার গতির বলও করেন একটি। তার ১৪৬.৪ কিলোমিটার গতির ডেলিভারিতে শরীরের দূর থেকে ড্রাইভ করার চেষ্টায় স্টাম্পে টেনে আনেন বাবর (২২)। ৩৮ রানের সেই জুটিই পরে ইনিংসের সর্বোচ্চ জুটি হয়ে থাকে। ক্যারিয়ারের শুরুতেই পাকিস্তানের রান মেশিন হয়ে ওঠা সৌদ শাাকিলকে দারুণ এক ডেলিভারিতে ফেরান সাকিব। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান এবার রানের দেখাই পাননি। দারুণ খেলতে থাকা আবদুল্লাহ শফিকের উইকেটটি উপহার পায় বাংলাদেশ। হঠাৎই তেড়েফুঁড়ে মারতে গিয়ে ৩৭ রানে উইকেট হারান এই ওপেনার।
তাকে ফিরিয়েই টেস্ট ইতিহাসের সফলতম বাঁহাতি স্পিনার হয়ে যান সাকিব। পেছনে পড়ে যান ড্যানিয়েল ভেট্টরি (৭০৫ উইকেট)। নতুন ব্যাটসম্যান সালমান আলী আগা টিকতে পারেননি এক বলও। মিরাজের দারুণ ডেলিভারিতে স্লিপে দুর্দান্ত রিফ্লেক্স ক্যাচ নেন সাদমান। জয়ের সুবাস ততক্ষণে পেতে শুরু করে বাংলাদেশ। লাঞ্চের পর খুব একটা অপেক্ষা করতে হয়নি। মিরাজের নিচু হয়ে যাওয়া ডেলিভারি বিদায় করে দেয় শাহিন আফ্রিদিকে। টিকতে পারেননি নাসিম শাহও। খুররাম শাহজাদকে নিয়ে জুটিতে পাল্টা আক্রমণে ফিফটি করেন রিজওয়ান। তবে বড় বাধা হয়ে উঠতে পারেননি তিনিও। প্রিয় সুইপ খেলার চেষ্টায় মিরাজের বল স্টাম্পে টেনে আনেন তিনি। একটু পর মিরাজই শেষ করে দেন ইনিংস। ছোট্ট লক্ষ্যে রান তাড়ায় জাকির ও সাদমানের সময় লাগেনি খুব একটা। সালমানের বল সীমানায় পাঠিয়ে দলকে জয়ের ঠিকানায় নিয়ে যান জাকির। সাদমান ৯ রানে আর জাকির অপরাজিত থাকেন ১৫ রানে।  নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বে পাঁচ টেস্টে বাংলাদেশের এটি দ্বিতীয় জয়। গত বছর জয় ধরা দিয়েছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এবার জয়ের দেখা পেলেন তিনি নিজের জন্মদিনে। জয়টি হয়তো ভুলবেন না তিনি। ম্যাচটি আলাদা জায়গা নিয়ে থাকবে দেশের ক্রিকেট ইতিহাসেও।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।