ঢাকা২৭ জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  1. ! Без рубрики
  2. Echt Geld Casino
  3. test2
  4. অপরাধ
  5. অর্থনীতি
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আরো
  8. এক্সক্লুসিভ
  9. খেলাধুলা
  10. জাতীয়
  11. তথ্য প্রযুক্তি
  12. দেশজুড়ে
  13. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  14. বাণিজ্য
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের নিবন্ধ বাংলাদেশ পাকিস্তান নয়- নির্বাচন গুরুত্ব রাখে

admin
জানুয়ারি ৫, ২০২৪ ৮:২১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিশেষ প্রতিনিধি

 

দেশে বিদেশে এখন বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যাপকভাবে আলোচিত একটি বিষয়ে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে সঞ্জয় ভট্টাচার্যের একটি কলাম প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশ পাকিস্তান নয়: নির্বাচন গুরুত্ব রাখে শিরোনামে লেখায় তিনি বাংলাদেশের বেশকিছু বিষয় তুলে ধরেন। তার লেখায় স্পষ্ট উঠে আসে বাংলাদেশের নির্বাচন এবং এই বাস্তবতায় গণতন্ত্র আর মৌলবাদের মধ্যকার ‘দড়ি টানাটানি’।

 

তিনি শুরু করেছেন এভাবে, বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন কড়া নাড়ছে। ২০২৪ সালে পৃথিবীর প্রথম নির্বাচন হিসেবে এটি তাৎপর্যপূর্ণ। একই উপমহাদেশের রাষ্ট্র পাকিস্তান যখন নির্বাচনী ফলাফল উপেক্ষা করে সেনাবাহিনী শাসন চালিয়ে যাবে, তখন বাংলাদেশের এই নির্বাচন গণতন্ত্র ও এর অনুশীলনকে সুসংহত করবে। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ঘটনাবলিতে বাংলাদেশের পূর্ণ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে এই নির্বাচন।

 

তিনি লিখেছেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন মহাজোট, টানা চতুর্থ মেয়াদের জন্য ১৫ বছরের শাসনামলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সামাজিক সহায়তা নেটওয়ার্ক, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের উন্নতি এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবদান রেখেছে। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের চর্চা ও ঐতিহ্য বিকশিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলছেন, গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের বিকাশে বিএনপি সহায়ক ছিল না। পাকিস্তানের বিপরীতে গণতন্ত্র বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ। আত্মবিশ্বাসী এই দেশ হবে বিশ্ব সম্প্রদায়ের এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, মুক্ত সমাজের অংশীদার।

 

গত কয়েকমাস ধরে বিএনপির টানা অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচিকে ধরে লেখক বলছেন, দেশ পরিচালনায় আওয়ামী লীগের এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলাকে আরও জটিল করার জন্য বিরোধী দল বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তুলতে থাকে। এক পর্যায়ে দাবি আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তারা নির্বাচন বয়কট করে। একইসঙ্গে, সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে যোগ হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের সমালোচনা।

 

দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার পরিবর্তে বিএনপির এক দফা এজেন্ডা ছিল- নির্বাচন কার পরিচালনা করা উচিত তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা। দলটির দাবি ছিলো, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পদত্যাগ করবে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে।

 

বাংলাদেশ তার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সমালোচনা আমলে নিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুধু বাংলাদেশের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষমতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেনি বরং যারা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করবে তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে বলেছে। সরকার জনগণের অংশগ্রহণ সহকারে নির্বাচন পরিচালনা করার ইচ্ছা এবং ক্ষমতা সম্পর্কে বিদেশী সমালোচকদের আশ্বস্ত করেছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য বিদেশী পর্যবেক্ষকদেরকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার।

 

তিনি বলতে চান, ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক সমাজ বনাম মৌলবাদের লড়াই চলেছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। অর্থনৈতিক ফ্রন্টে, উভয় পক্ষই প্রবৃদ্ধি চেয়েছে, কিন্তু তাদের পদ্ধতি এবং সুবিধাভোগী ভিন্ন। এই সংগ্রামের ফলাফল এখন দেশের সমাজ ও রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে। যদি দেশটি মৌলবাদ এবং সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকদের শিকারে পরিণত হয়, তাহলে রাজনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কা বাড়বে। চরমপন্থা ছড়িয়ে পড়তে পারে আশপাশের দেশগুলোতে।

 

কেনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি যৌক্তিক না এবং কীভাবে সেটি থেকে বের হয়ে এসেছে বাংলাদেশ সেই প্রক্রিয়া তার লেখায় উঠে এসেছে। তিনি লিখছেন, ১৯৯১ সালে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হওয়া নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে মিশ্র অভিজ্ঞতা আছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গভীর অবিশ্বাসের কারণে গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখার জন্য একটি আপসরফা হিসাবে ১৯৯৬ সালে ১৩তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান আনা হয়। পরবর্তীতে ১৫তম সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বিলুপ্ত করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুসারে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা শক্তিশালী করা হয়। এখন আওয়ামী লীগ সংবিধান বহাল রাখতে অনড়। আর বিএনপি ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন, এমনকি নির্বাচন ঠেকিয়ে দেয়ার আশাও ছাড়তে পারেনি দলটি।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।