গত ৯ জুলাই ২০২৩ তারিখ বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলায় একিভূত শিক্ষার কৌশল ও মূল্যায়ন বিষয়ক শিক্ষক প্রশিক্ষণের উপজেলার আরটিআই এর ব্যবস্থাপনায় ভেনুভাড়া টাকার আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরত দিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান।
প্রশিক্ষণটি ইউআরসি প্রতিষ্ঠানে হওয়ার কথা থাকলেও কারিকুলাম প্রশিক্ষণ শুরু হওয়ার কারণে। প্রশিক্ষণটি ৭০নং এপি কালিকাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর একটি কক্ষে শুরু হয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা না থাকার জন্য বিদ্যুৎ বিল, চেয়ার, ভাড়া বাবদ থেকে প্রতিটি প্রশিক্ষণ বাবদ ২ হাজার ৫ শত টাকা বরাদ্দ থাকে। কিন্তু উক্ত বরাদ্ধের টাকা উপজেলা শিক্ষা অফিসার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান ব্যয় না করে স্কুলের উপর ব্যয় উঠিয়ে দিয়ে আড়াই হাজার টাকা নিজের পকেটে পকেটস্থ করেন।
৭০ নং কালিকাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মোট সাতটি ব্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।সাতটি প্রশিক্ষণে ১৭ হাজার ৫ শত টাকা উপজেলা শিক্ষা অফিসার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান নিজেই আত্মসাৎ করেন।
উপজেলা শিক্ষাঅফিসারের উপজেলা রিসোর্স পারসন হিসেবে ভাতা আছে সুতরাং সহায়ক ভাতা নেওয়ার কোন সুযোগ তার নেই। কিন্ত তিনি তা নিজে গ্রহন করেছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে ৭০ নং এপি কালিকাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নারগিছ খানম বলেন, আমার কাছ থেকে দুইটি বিলে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছে কিন্তু স্যার আমাকে কোন টাকা পরিশোধ করেনি।
এ ব্যাপারে এনজিও আইটিআই সমন্বয়কারী কানিজ ফাতেমা বলেন, আমি কোন অন্যায় করিনি যা করেছি টিইও স্যারের নির্দেশে করেছি।সে এটিও রফিকুল আমিন স্যারকে টাকা দিয়ে দিতে বলেছে।তাই তাকে দিয়েছি।
এ ব্যাপারে সহকারি শিক্ষা অফিসার রফিকুল আমিন সাহেব বলেন, থানা শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান আমাকে স্বাক্ষর করে টাকা গ্রহণ করতে বলেছেন। গ্রহণ গ্রহণ করার সাথে সাথে আমার কাছ থেকে তিনি সমস্ত টাকা নিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শাহ আলম বলেন, এ ট্রেনিং সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা। তবে গতকাল শুনেছি এবং অফিসার কে অনেক রাগারাগি করে টাকা কাফেরত দিয়ে দিতে বলেছি। আপনারা পত্রিকায় লেখেন দেখেন কিছু হয় নাকি ওর মুখের কথায় হয় না।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট শাহ ই আলম বাচ্চু বলেন, আমি জিজ্ঞেস করেছি আমার সাথে মিথ্যা কথা বলেছে। তবে বিধিমত ব্যবস্থা হওয়া উচিত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম তারেক সুলতান ঘটনা শুনে তাদেরকে অফিসে ডেকে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করে সমুদয় টাকা উদ্ধার করে ৭০ নং এপি কালিকাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা নারগিছ খানমের কাছে ফেরত দিয়ে দেন। এবং উন্নয়নমূলক কাজে খরচ করার নির্দেশ প্রদান করেন।