কিশোরগঞ্জের ভৈরবে প্রবাসে যেতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন নয়ন মিয়া (২২) নামে এক যুবক। তিনি শহরের কালিপুর মধ্যাপাড়া এলাকার সাত্তার মিয়ার ছেলে।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাত ১১টায় পৌর শহরের কালিপুর মধ্যপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নিহত নয়ন মিয়া ২ বছর আগে স্মৃতি নামে স্থানীয় এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। পরে নয়নের পরিবার বিষয়টি মেনে নেয়নি। ছেলেকে প্রেম থেকে ফেরাতে তার পরিবার বিদেশ পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিল। তবে মেয়ের পরিবার নয়নের নামে ইভটিজিং মামলা দিয়ে তাকে এক বছর আগে জেলহাজতে পাঠায়।
দীর্ঘ সাত মাস জেল খেটে ৪ মাস আগে তিনি বের হন। এরপর নয়ন মিয়া পারিবারিকভাবে উপজেলার ছাগাইয়া গ্রামের শান্তিপাড়া এলাকায় আকলিমা নামের এক মেয়েকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে বিদেশে যেতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন নয়ন। কিন্তু মামলা থাকায় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে বিলম্ব হচ্ছিল।
মানসিক অশান্তিতে এক পর্যায়ে নয়ন নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। স্থানীয়দের ধারণা, অতিরিক্ত মানসিক চাপে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
এ বিষয়ে নিহতের বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম বলেন, সংসারে আমরা ৪ ভাই, ৪ বোন। নয়ন সবার ছোট। নয়ন একটি মেয়ের জন্য জেল খেটেছে। এজন্য তাকে বিদেশ পাঠাতে সমস্যা হচ্ছিল। ভিসা রেডি থাকলেও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাচ্ছিলাম না। নয়নকে আমরা ৩ মাস আগে বিয়ে করাই। সে বিদেশে যেতে অনেক চেষ্টা করছিল। মঙ্গলবার সকালে ও দুপুরে বাবার সঙ্গে বসে খাবার খেয়েছে। দুপুরে ঘুমিয়ে ছিল। বিকেলে বাইরে থেকে ঘুরে এসে নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। অসুস্থতার কারণে তার স্ত্রী বাবার বাড়িতে ছিল। রাতে আমরা দেখতে পাই ঘরের ধরণার সঙ্গে নয়ন ফাঁসিতে ঝুলে আছে। পুলিশ এসে মরদেহ থানায় নিয়ে গেছে।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, মরদেহ থানায় রয়েছে। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।