দৈ. কি.ডেস্ক : কিশোরগঞ্জ শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের নয়টি লোহার দানবাক্সে পাওয়া ২৮ বস্তা টাকা গণনা শেষ হয়েছে।
এবার সাত কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা পাওয়া গেছে।
শনিবার দিবাগত রাতে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ৯টি দান বাক্সে পাওয়া টাকার পরিমাণ নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) কাজী মহুয়া মমতাজ। তিনি বলেন, ‘টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা করা হয়েছে। টাকার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে।’
এর আগে ২০ এপ্রিল পাগলা মসজিদের ৯টি দান বাক্সে রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। যা পাগলা মসজিদের দান বাক্সে পাওয়া অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে রেকর্ড পরিমাণ টাকা।
টাকা গণনার কাজে কিশোরগঞ্জের জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) কাজী মহুয়া মমতাজ, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলামসহ মাদ্রাসার ২৫৭ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৭০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৪০ জন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ১২ জন ও পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য অংশ নিয়েছেন।
মসজিদ কমিটি জানায়, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তরিকুল ইসলাম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজুল করিম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে সকাল ৮টার দিকে দান বাক্সগুলো খোলা হয়। দান বাক্সগুলো খুলে ২৮টি বস্তায় ভরে টাকাগুলো মসজিদের দোতলায় নেওয়া হয় গণনার জন্য। সারা দিনে এগুলো গণনা করে ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা পাওয়া গেছে।
মসজিদ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের প্রতি সারা দেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের অন্য রকম আবেগ রয়েছে। এই এলাকার মানুষেরা চান এখানে একটা দৃষ্টিনন্দন মসজিদ কমপ্লেক্স হোক। ভবিষ্যতে ১১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এখানে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মিত হবে।’