দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপির মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার সাড়ে তিন মাস পর জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে প্রথমে মির্জা ফখরুল এবং ৪ মিনিট পর আমীর খসরু কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে উপস্থিত হলে নেতাকর্মীরা মুহুর্মুহু করতালি ও ফুলের পাঁপড়ি ছিটিয়ে দুজনকে বরণ করে নেন।
কারাগার থেকে বেরিয়েই চলমান আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন বিএনপির মহাসচিব। জেলগেটে অপেক্ষমাণ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ সব সময় গণতন্ত্রের জন্য, ভোটের অধিকারের জন্য, ভাতের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছে, লড়াই করেছে। এই সংগ্রামে তারা জয়ী হবে।’ গণতন্ত্র ফেরানোর চলমান আন্দোলন বিজয় না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।
এ সময় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ওরা (সরকার) রাষ্ট্রশক্তিকে কবজা করে ক্ষমতা দখল করেছে। বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা নির্বাচনে নৈতিকভাবে জনগণের কাছে পরাজিত হয়েছে। আমরা বলতে চাই, গণতন্ত্রের আন্দোলন অটুট থাকবে। যত দিন না দেশে গণতন্ত্র ফেরত না আসবে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার না আসবে, তত দিন এই সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।’
ফখরুলকে বাসায় নেওয়ার জন্য তার সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগম কারাফটকে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা তাইফুল ইসলাম টিপু, শামীমুর রহমান শামীম, নিপুণ রায় চৌধুরী, ফরহাদ হোসেন আজাদ, সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম, শায়রুল কবির খানসহ অঙ্গ সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।