দৈ. কি.ডেস্ক : আগামী অর্থবছরের (২০২৪-২৫) বাজেটে অর্থনৈতিক অঞ্চল বা হাই-টেক পার্কে কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ আর থাকছে না। আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে ব্যক্তি খাতে কালোটাকা প্রদর্শনের সুযোগ পুনরায় দেওয়া হচ্ছে। নতুন নিয়মে মাত্র ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বিনা প্রশ্নে কালোটাকা সাদা করা যাবে। দায়িত্বশীল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এরপর কয়েক দফা অর্থনৈতিক অঞ্চল বা হাই-টেক পার্কে কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হয়। কিন্তু দীর্ঘ ৫ বছরে এ সুযোগ কেউ গ্রহণ করেনি। চলতি অর্থবছরের ৩০ জুন এ সুবিধার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। তাই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণের অংশ হিসাবে নতুন করে অর্থনৈতিক অঞ্চল বা হাই-টেক পার্কে কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হচ্ছে না।
২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে ১০ শতাংশ কর দিয়ে আয়কর রিটার্নে অপ্রদর্শিত নগদ অর্থ, সঞ্চয়পত্র, সরকারি সিকিউরিটিজ, ব্যাংক আমানত প্রদর্শনের সুযোগ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বর্গমিটারপ্রতি নির্দিষ্ট হারে কর দিয়ে ফ্ল্যাট প্রদর্শনের সুযোগ দেওয়া হয়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে তখন ১১ হাজার ৮৫৯ জন করদাতা কালোটাকা সাদা করেন।
এর মধ্যে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেন ২৮৬ জন, জমিতে ১ হাজার ৬৪৫ জন, ফ্ল্যাটে ২ হাজার ৮৭৩ জন এবং নগদ অর্থ প্রদর্শন করেছেন ৭ হাজার ৫৫ জন। নানা সমালোচনার মুখে এর পরের বছর (২০২১-২২ অর্থবছর) কালোটাকা সাদা করার বিধান রাখা হলেও করহার বাড়িয়ে কঠিন শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। নগদ, ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, সঞ্চয়পত্র, এফডিআর প্রদর্শনে পরিশোধযোগ্য করের অতিরিক্ত ৫ শতাংশ কর (মোট ২৬ দশমিক ২৫ শতাংশ) পরিশোধের মাধ্যমে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি প্রদর্শনের সুযোগ রাখা হয়। এতে সাড়া না পাওয়ায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে সুবিধা বাতিল করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, আগামী বাজেটে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে আয়কর রিটার্নে অপ্রদর্শিত নগদ অর্থ, ব্যাংক আমানত প্রদর্শনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। মূলত কালোটাকাকে অর্থনীতির মূলধারায় আনতে এ উদ্যোগ থাকছে। এক্ষেত্রে আগের মতোই অ্যামনেস্টি সুবিধা থাকছে। অর্থাৎ সরকারের অন্য কোনো সংস্থা এ বিষয়ে প্রশ্ন করতে পারবে না।