ঢাকা২২ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. ! Без рубрики
  2. Echt Geld Casino
  3. test2
  4. অপরাধ
  5. অর্থনীতি
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আরো
  8. এক্সক্লুসিভ
  9. খেলাধুলা
  10. জাতীয়
  11. তথ্য প্রযুক্তি
  12. দেশজুড়ে
  13. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  14. বাণিজ্য
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কিশোরগঞ্জের ২ উপজেলায় প্রার্থী আছে, প্রাথমিকে পদ খালি নেই

admin
ডিসেম্বর ২১, ২০২৪ ৩:২৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

দৈ. কি.ডেস্ক :  কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে প্রাথমিক পর্যায়ের সবচেয়ে পরিচিত স্কুলটির নাম সরকারি আদর্শ শিশু বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার। শিক্ষক রয়েছেন ২১ জন। তাঁদের মধ্যে মাত্র ৬ জন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার। বাকি সব শিক্ষক জেলার হাওরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বদলি হয়ে এসেছেন। সদর উপজেলায় কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের পদ শূন্য নেই।

অন্যদিকে হাওরবেষ্টিত করিমগঞ্জ উপজেলার সুতারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের ৫টি পদের মধ্যে ২টি দীর্ঘদিন ধরে শূন্য পড়ে রয়েছে। এতে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। শুধু এ স্কুলই নয়, প্রত্যন্ত হাওরাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি স্কুল শিক্ষক-সংকটে ভুগছে।

জানা গেছে, যোগাযোগ ও সুযোগ-সুবিধার ঘাটতির অজুহাতে প্রাথমিকের শিক্ষকেরা কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলের বিদ্যালয়গুলোতে বেশি দিন থাকতে চান না। বদলি হয়ে চলে যান জেলা শহর ও আশপাশের স্কুলগুলোতে। ফলে জেলা সদর ও আশপাশের উপজেলাগুলোতে খুব কমই শূন্য হয় শিক্ষকের পদ। এ কারণে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বহু বছর ধরে চাকরিপ্রত্যাশীরা নিয়োগের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অন্যদিকে বারবার পদ শূন্য হওয়ায় প্রতি নিয়োগেই চাকরির সুবিধা যাচ্ছে হাওর এলাকায়।

তাহলে হাওরাঞ্চলে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকেরা কোথায় যান? এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা গেল, নিয়োগ পেয়ে বছরখানেকের মধ্যেই হাওরাঞ্চলের শিক্ষকেরা নানা কৌশলে বদলি হয়ে জেলা শহরের স্কুলগুলোতে যান। ফলে আবার শূন্য হয়ে যায় হাওরে শিক্ষকের পদ। পরে এসব শূন্যপদে নিয়োগ হলে আবার সুযোগ পান হাওরের চাকরিপ্রত্যাশীরাই। আর বঞ্চিত হন কিশোরগঞ্জ সদর ও করিমগঞ্জসহ উজান এলাকার চাকরিপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, করিমগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মো. শামছুল হক ফরহাদ বলেন, নীতিমালা অমান্য করে অনিয়মের মাধ্যমে বদলি হয়ে ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলাসহ হাওর এলাকায় নিয়োগপ্রাপ্ত অর্ধশতাধিক শিক্ষক করিমগঞ্জে চাকরি করছেন। স্বামী বা স্ত্রীর কর্মস্থলে সীমিতসংখ্যক শিক্ষকের বদলির সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এখানে বেশির ভাগ শিক্ষক নদীভাঙন দেখিয়ে বা অন্য কোনো তদবিরে বদলি হয়ে এসেছেন। এ কারণে উপজেলায় কখনো শিক্ষকের পদ শূন্য হয় না। ফলে করিমগঞ্জের শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা চাকরি পাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, যাঁরা ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলা থেকে বদলি হয়ে উজান এলাকায় আসেন। সেখানে আবার শিক্ষকের পদ শূন্য হচ্ছে। শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হলে ওই সব এলাকাতেই চাকরির সুযোগ তৈরি হয় করিমগঞ্জসহ উজান এলাকায় পদ শূন্য না হওয়ায় চাকরিও জোটে না আগ্রহীদের।

প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন শাহীন বলেন, সদরে অবসরজনিত কারণে কোনো পদ শূন্য হলে ঝড়ের বেগে বহিরাগতরা বদলি হয়ে চলে আসেন। ফলে নতুন নিয়োগে সদরের কোনো শূন্যপদ থাকে না। আর এ কারণে সদরের স্থায়ী বাসিন্দাদের চাকরি হয় না।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ শিক্ষক নিয়োগে কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩টি উপজেলায় চাকরি পেয়েছেন ২৮৮ জন। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর ও করিমগঞ্জ উপজেলা চাকরি জুটেছে মাত্র দুজন করে। অন্যদিকে হাওর উপজেলা ইটনায় ৩৮, মিঠামইনে ২৮ ও অষ্টগ্রামে ৪০ জন শিক্ষকের চাকরি হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মজিব আলম বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কঠোর হলে হাওর থেকে জেলা শহরে বদলির এ প্রবণতা কমতে পারে। বদলির কারণে বৈষম্য সৃষ্টি হোক, ব্যক্তিগতভাবে আমিও চাই না।’

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।