দৈ. কি.ডেস্ক : কিশোরগঞ্জে বেড়েছে বস্তায় আদা চাষ। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় কৃষি বিভাগের পরামর্শে বস্তায় আদা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। এতে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি আমদানি নির্ভরতা কমেছে বলে দাবি কৃষি অধিদপ্তরের।
কৃষকরা বলেন, ‘অনাবাদি পতিত জমিতেও চাষ করা যায়। এ পদ্ধতিতে আদা চাষ করেছি। বর্ষায় পানি জমে গেলেও পচনসহ রোগবালাইয়ের সম্ভাবনা কম। আমাদের মতো সাধারণ কৃষকদের এ পদ্ধতিতে আদা চাষে কারিগরিসহ সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।’
সদর উপজেলার কামালিয়াচর ব্লকের উপসহকারী কৃষক কর্মকর্তা রবিউল করিম বলেন, ‘বস্তায় আদা চাষে রোগবালাই নেই বললেই চলে। প্রয়োজনে আক্রান্ত গাছ সরিয়ে নিলে অন্য গাছ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। গত মৌসুমে আদার বীজে ঘাটতি থাকলেও এ বছর যেন তা না হয়, এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগ কাজ করছে।’
কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় আড়াই হাজার মেট্রিক টন আদার চাহিদা আছে। যার বিপরীতে মাত্র ৫০ হাজার মেট্রিক টন আদা উৎপাদনের সক্ষমতা আছে। বাকি আদা বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। বস্তায় আদা চাষে গুরুত্ব দিলে আমদানি নির্ভরতা কমে আসবে।’