দৈ. কি.ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত জশনে জুলুসকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে মীর মোহাম্মদ মিলন নামের এক ব্যক্তি নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার ইমাম উলামা পরিষদের নেতা ও ছয়সূতী জামে মসজিদের খতিব আবু হানিফ বাদী হয়ে এ মামলা করেছে।
মামলায় নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় ৬৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার দুপুরে কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হন উভয় পক্ষের ১৫ জন।
নিহত মীর মোহাম্মদ মিলন (৫০) উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের পূর্ব ছয়সূতী গ্রামের হাজী জমির উদ্দিনের ছেলে। তিনি ছয়সূতী বাজারের জুতা ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সদস্য। ছয়সূতী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির সদস্যও ছিলেন তিনি।
মামলায় আহলে সুন্নাহ আল-জামাতের ৬৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয় ।
এদিকে ঘটনার পর বেলা ২টার দিকে ছয়সূতী খাদেমুল ইসলাম হোসাইনিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা চত্বরে উপজেলা ইমাম উলামা পরিষদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে।
সংবাদ সম্মেলনে জামিয়া নূরুল উলুম কুলিয়ারচর মাদ্রাসার প্রধান মুফতি নাছির উদ্দিন রহমানিয়া বলেন, ‘প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা সিরাতুন্নবী মাহফিল বন্ধ রাখি। বেলা ১১টায় বেদাতিরা পরিকল্পিতভাবে আমাদের মসজিদে হামলা চালায়। এ ঘটনায় বাজারের একজন ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।’ প্রশাসনের এত নজরধারীর পরও এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি একটি ন্যক্কারজনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি এর বিচার দাবি করেন ।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারোয়ার জাহান বলেন, মঙ্গলবার ইমাম উলামা পরিষদের নেতা ও ছয়সূতী জামে মসজিদের খতিব আবু হানিফ বাদী হয়ে ৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলা করার সময় নিহতের ছেলে ও শ্যালক উপস্থিত ছিল। নিহতের পরিবারের সম্মতিতেই আবু হানিফ বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন বলে জানিয়েছেন ওসি।
