দৈ. কি.ডেস্ক : নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে নতুন আলু তোলা শুরু হয়েছে। খেত থেকেই নতুন এই আলু বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ব্যবসায়ীরা সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে আগামা জাতের এই আলু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
গত বুধবার সকালে উপজেলার রণচণ্ডী ইউনিয়নের কুঠিপাড়া গ্রাম ঘুরে ফসলের বিস্তীর্ণ খেত থেকেই আলু বিক্রি করতে দেখা গেছে। এ সময় দেখা গেছে, মাঠে কেউ মাটি খুঁড়ছেন, কেউ আলু কুড়াচ্ছেন, কেউ বস্তা ভরছেন। কোথাও আবার ডিজিটাল মিটারে চলছে আলু ভরা বস্তা ওজন দেওয়ার কাজ। তারপর খেতেই গাড়ি ভরে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, প্রতি বছর এ উপজেলার ক্ষুদ্র-প্রান্তিক কৃষক আগাম আমন ধান ঘরে তুলে আগাম বাজার ধরার আশায় আগেভাগে আলুর বীজ বপন করেন। এ ছাড়া কয়েক দিনের মধ্যে পুরোপুরি মাঠ থেকে আলু তোা শুরু হবে। চলতি বছর ৬ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কৃষক এনামুল ইসলাম বলেন, ‘গত মধ্য সেপ্টেম্বরে আলু বোনা হয়েছিল। ৫৫ থেকে ৬০ দিনে ফলনযোগ্য আগাম আলু উত্তোলন করছি। জমিতে নারী-পুরুষ মিলে ২০ জন শ্রমিক কাজ করছে। আগাম হিসেবে ফলন কিছুটা কম হলেও বাড়তি খরচ ছাড়া খেতেই ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলাম।’
আরেক কৃষক আকবর বলেন, ‘আগাম আলু রোপণ করেছিলাম। খরচ বাদ দিয়ে মোটামুটি ভালো লাভ হবে। কেজিপ্রতি ৯০ টাকা পাইকারের কাছে বিক্রি করলাম।’
ঢাকা থেকে আলু কিনতে আসা পাইকার মাসুদ রানা বলেন, ‘প্রতি বছর এখান থেকে আগাম আলু নিয়ে রাজশাহী, বগুড়া, ঢাকায় বিক্রি করি। এখান থেকে আগাম আলু কিনে ঢাকায় বিক্রি করলে বর্তমান বাজারে যাতায়াত খরচ বাদে মোটামুটি লাভ হবে আশা করছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলম বলেন, ‘প্রতি বছর এ উপজেলার কৃষকেরা আগাম সেভেন জাতের আলু চাষ করে থাকেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আগাম আলু তোলা শুরু হয়েছে। এ বছর ৬ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আগাম আলু ৪ হাজার ৭০০ হেক্টর। এবার কৃষক আগাম আলু ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।’