দৈ. কি.ডেস্ক : কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদও বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
কিশোরগঞ্জে কৃষকদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দের কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে বদলি করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক মো: ছাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত আদেশে এ বদলি করা হয়।প্রকল্পগুলোর প্রদর্শনী নামমাত্র বাস্তবায়ন, কোথাও আবার বাস্তবায়ন না করেই অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ছিল এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, সদর উপজেলায় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের ছয়টি প্রকল্প ছিল। সেই প্রকল্পগুলোর প্রদর্শনী নামমাত্র বাস্তবায়ন, কোথাও আবার বাস্তবায়ন না করেই অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ছিল এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। ফাহিমা আক্তার ফাহিমের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে ‘প্রকল্পের টাকা যেভাবে ব্যাগে ভরেন কৃষি কর্মকর্তা’ শিরোনামে কালবেলা মাল্টিমিডিয়ায় সংবাদ প্রচার করলে নড়েচড়ে বসে কৃষি অধিদপ্তর। ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পর তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর যোগদানের কিছুদিন পর থেকেই ফাহিমা আক্তার ফাহিম বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে অভিযোগ ছিল।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, ফাহিমা আক্তার ফাহিমকে উপজেলা কৃষি অফিসার থেকে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি অফিসার হিসেবে পদায়ন ও শেরপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (এটিআই) সংযুক্ত করা হয়েছে। এর আগে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা পদে ছিলেন তিনি।