দৈ. কি.ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে হুমায়ুন (২০) নামের এক অটোরিকশা চালকের হাত-পা ও মুখ বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বাদে শ্রীরামপুর গ্রামের একটি বাগান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত হুমায়ুন করিমগঞ্জের গুজাদিয়া ইউনিয়নের পূর্ব চরকরণশি গ্রামের ওসমান মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে রোগী আনার কথা বলে অজ্ঞাত এক যাত্রী কিশোরগঞ্জ শহরের পুরান থানা থেকে হুমায়ুনের অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে করিমগঞ্জের জঙ্গলবাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় চালক হুমায়ুন তার ফুফাতো ভাই শামীমকে কল করে দেওয়ানগঞ্জ বাজারের কাছে থাকতে বলেন।
দেওয়ানগঞ্জ বাজারের কাছে গিয়ে শামীমকে অটোতে উঠতে বললে ওই যাত্রী তাঁকে বলেন, রোগী ও রোগীর সঙ্গে বেশি লোক থাকায় আর কাউকে নেওয়া যাবে না। পরে শামীমকে ছাড়াই অটো নিয়ে চলে যান হুমায়ুন। এরপর থেকে তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। দীর্ঘ সময়েও হুমায়ুন ফিরে না আসায় শামীম তাঁর মোবাইল নম্বরে কল দেন। কিছুক্ষণ কল গেলেও পরে বন্ধ হয়ে যায়।
আজ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ওই গ্রামের জঙ্গলবাড়ি মহিলা কলেজের পাশে মোস্তফার বাগানে হুমায়ুনের হাত-পা ও মুখ বাঁধা মরদেহ পাওয়া যায়। কিন্তু অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের বাবা ওসমান বলেন, ‘আমার ছেলেকে এভাবে মেরে ফেলল। আমার ছেলেকে কি কারণে হত্যা করা হলো। আমার ছেলেকে যেই মারুক তাদের বিচার চাই।’
করিমগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাব্বত বলেন, মরদেহটি শনাক্ত করা হয়েছে। মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সুরতহাল করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামি শনাক্তে আমরা কাজ করছি। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।