দৈ. কি.ডেস্ক : দুই ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে কিশোরগঞ্জ শহরের মাদানিয়া মহিলা কওমি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে জেলা শহরের সতাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১১ বছর বয়সি দুই ছাত্রী মাদ্রাসার আবাসিক হলে থেকে লেখাপড়া করে। তিন মাস ধরে তাদের অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন ওই অধ্যক্ষ। শেষ পর্যন্ত বুধবার রাত ৮টার দিকে এই দুই ছাত্রীকে নিজের অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে যৌন নিপীড়ন করেন অধ্যক্ষ। এ সময় তার হাত থেকে রক্ষা পেতে দুই ছাত্রী চিৎকার করলে তাদের গলা চেপে ধরেন।
এক পর্যায়ে কৌশলে অফিস কক্ষ থেকে তারা বের হয়ে বাড়িতে ফিরে গিয়ে পরিবারের কাছে বিষয়টি জানায়।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ওই দুই ছাত্রীর একজনের মা কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের মামলা করেন।ভুক্তভোগী এক ছাত্রীর মা বলেন, ‘বাচ্চারা কি মাদ্রাসায়ও নিরাপদ না? আমরা আল্লাহর রাস্তায় জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য সন্তানকে মাদ্রাসায় দিয়েছি। কিন্তু সেখানেও আমাদের সন্তান নিরাপদ রইল না। আল্লাহর পথে শিক্ষা দেওয়ার বদলে তারা শয়তানের শিক্ষা দিতে চেয়েছে। আমাদের সন্তানদের মতো যেন অন্য কারও সন্তান এমন ঘটনার শিকার না হয়। এমন ঘটনা ঘটতে থাকলে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করানোর প্রতি মানুষের আস্থা উঠে যাবে।’
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে শুক্রবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।