ডেস্ক:রমজান মাস সামনে রেখে কিশোরগঞ্জে গরুর দুধের দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা। লিটারপ্রতি খুচরা ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। তাতে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা বিপাকে পড়েছেন। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে ব্যবসায়ীরা বলছেন, পশুর খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় দুধের দাম কিছুটা বেড়েছে।
কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, ১০ দিন আগেও গরুর দুধ লিটারপ্রতি ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা দরে। গ্রামাঞ্চলের বাজারগুলোতে যে দুধ ৬০-৭০ টাকা লিটার বিক্রি হতো, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়।
সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়নের অনেকেই বলেন, ‘জানেন না আমরা কোন দেশে বাস করি। সেটা দেখতে হবে। মধ্যপ্রাচ্যে রমজান এলে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের দাম কমে, আর রমজান মাসকে পুঁজি করে আমাদের দেশে বাড়ে। দুর্ভাগ্য আমাদের।’
নাম প্রকাশ না করে একাধিক খামারি বলেন, ‘বর্তমানে গরুর খাবারের দাম একটু বেশি হওয়ায় দুধের দাম বাড়াতে হয়েছে। এখন ৭০ টাকা লিটার দরে দুধ বিক্রি করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের একটাই দাবি, গরুর খাবারের দাম কমান, সরবরাহ নিশ্চিত করেন।’
বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি আজমল খান বলেন, ‘রমজানে চাহিদার তুলনায় দুধ উৎপাদন কম হয়। আমাদের খামারির সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন। গো-খাদ্যের দাম হু হু করে বেড়েছে। এই দাম কমানো দরকার। এ ছাড়া গো-খাদ্যের সরবরাহ থাকে না। তাতে খামারিরা বিপাকে পড়ে।’
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুভাষ চন্দ্র পণ্ডিত বলেন, ‘খামারিরা ৬০-৭০ টাকা দরে দুধ বিক্রি করছে। খামারিরা দাম বাড়ায়নি। খুচরা বিক্রেতারা মিথ্যা বলে দাম বাড়িয়ে দুধ বিক্রি করছে। বা এখানে কোনো মিডলম্যান রয়েছে, যারা এই কাজটা করছে।’
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বণিক বলেন, ‘প্রাণিসম্পদ অফিসের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা বিষয়টি দেখব এবং তাদের তত্ত্বাবধানে অভিযান পরিচালনা করব।’