দৈ. কি.ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে প্রথম স্ত্রীর বাসায় যাওয়ায় স্বামীকে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার গভীর রাতে পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শাহিন মিয়া উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের পাইকশা গ্রামের মো. তৈয়ব উদ্দিনের ছেলে। দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে তিনি কটিয়াদী পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়া মহল্লার ভাড়া বাসায় থাকতেন।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শাহিন তিন কন্যাসন্তানের জনক। এক বছর আগে কটিয়াদী পশ্চিমপাড়া মহল্লার আবুল হোসেনের মেয়ে দুই সন্তানের জননী ঝর্ণা আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর পশ্চিমপাড়া মহল্লায় থাকতেন তারা। দুজনে স্থানীয় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকরি করতেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে প্রথম স্ত্রী সুলতানা রাজিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। প্রথম স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে আলাদা বাসায় থাকতেন। সন্তানদের দেখতে মাঝেমধ্যে প্রথম স্ত্রীর বাসায় যেতেন। বুধবার সন্ধ্যায় সন্তানদের দেখতে প্রথম স্ত্রীর বাসায় যান। রাতে নিজের বাসায় ফিরলে দ্বিতীয় স্ত্রী ঝর্ণা আক্তারের সঙ্গে শাহিনের ঝগড়া হয়।
কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মেহেদী হাসান বলেন, সকালে ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায় বেশ কিছুক্ষণ আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘শাহীনের লাশ হাসপাতাল থেকে নিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার গলায় নিচে একটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হত্যায় জড়িত সন্দেহে স্ত্রী ঝর্ণা আক্তারকে আটক করা হয়েছে।