ডেস্ক:কুমিল্লায় বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বাস প্রতীকের সমর্থকেরা টেবিল ঘড়ি ও ঘোড়া প্রতীকের পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার সকাল আটটায় ভোট শুরুর পর থেকেই এটি শুরু হয় বলে অভিযোগ। এর মধ্যে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী এজেন্টকেও হেনস্তা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কুমিল্লায় ভোট শুরুর দেড় ঘণ্টার মধ্যে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে উত্তেজনা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, গোলাগুলি ও টেবিল ঘড়ি ও ঘোড়া প্রতীকের পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বাস প্রতীকের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
শনিবার ভোট শুরুর ঘণ্টা খানেক পর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সি এম আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে দুই পক্ষের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হওয়াসহ দুজন আহত হয়েছেন।
টেবিল ঘড়ি প্রতীকে প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মেয়র পদপ্রার্থী মনিরুল হকের (সাক্কু) ভাই কাইমুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের সব এজেন্টকে বের করে দিয়েছে। মহিলা এজেন্টদের ঢুকাই দিছি, ওরা মাইরধইর কইরা বাইর কইরে দিছে। পুলিশ নির্বিকার।’
সকাল ৯টার দিকে এই কেন্দ্রে চারজন এজেন্টকে নিয়ে আসেন ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নিজামউদ্দিন। তাঁদের সকালে বের করে দেওয়া হয়েছিল।
ঘোড়া প্রতীকের পোলিং এজেন্ট শিরিন আক্তার বলেন, ‘আমার সকালে আসছিলাম। আমাদের বের করে দেওয়া হয়েছে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, এই কেন্দ্রে বাস ও টেবিল ঘড়ি প্রতীকের পোলিং এজেন্টদের মধ্যে মারামারি হয়। বাস প্রতীকের এজেন্টরা টেবিল ঘড়ির এজেন্টদের মেরে, ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়।
সকাল ৯টার দিকে হাইস্কুল কেন্দ্রে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিদর্শনে আসেন।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সৈয়দা সাদিকা সুলতানা বলেন, এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ তিনি শুনেছেন। এ সময় তিনি একজন প্রার্থী ও অন্য এক প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্টকে তাঁদের পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রে আনার জন্য বলেন। তিনি তাঁদের ঢোকানোর ব্যবস্থা করার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন।
৫ নম্বর ওয়ার্ডের রিয়াজ উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পুলিশ লাইনস স্কুল, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের হাজী আকরামউদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও দৈয়ারা স্কুল, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের শাকতলা প্রাইমারি ও হাইস্কুল কেন্দ্রেও টেবিল ঘড়ি প্রতীকের এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।