ডেস্ক: গাজায় ইসরাইলের নৃশংস অভিযানের ৬ মাস পূর্ণ হল রোববার। সেই দিনই গাজা থেকে কিছু সংখ্যক সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিল ইসরাইল। দক্ষিণ গাজা থেকে সমস্ত সেনা সরিয়ে নেয়া হয়েছে। কেবল একটি মাত্র ব্রিগেড রয়েছে অধিকৃত ভূখণ্ডটির দক্ষিণে।
উপত্যকাটির দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে গত কয়েক মাস ধরে অবস্থানের পর ইসরাইলি সৈন্য প্রত্যাহার শুরু হওয়ায় ফিলিস্তিনিরা ধ্বংস্তূপে পরিণত হওয়া তাদের বাড়িঘরগুলোতে ফিরতে শুরু করেছেন।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গালান্ত বলেছেন, গাজা থেকে রোববার ইসরাইলি সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। আর এই কাজটি করা হয়েছে ভবিষ্যতে সামরিক অভিযানের কথা চিন্তা করেই। বিশেষ করে, দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে অভিযান চালানোর জন্য।
দীর্ঘদিন ধরেই দক্ষিণ গাজার রাফা শহরটিতে অভিযান চালাতে আগ্রহী ছিল ইসরাইল। তাদের দাবি, ওইখানেই রয়েছে হামাসের মূল ঘাঁটি। তাই হামাসকে পুরোপুরি শেষ করতে গেলে রাফায় অভিযান করতেই হবে। কিন্তু একাধিকবার আন্তর্জাতিক মহলের তোপের মুখে পড়েছে ইসরাইলের এ পরিকল্পনা।
গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে ইসরাইল-হামাসের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। ওইদিন সকালে আচমকাই সীমানা পেরিয়ে ইসরাইলে ঢুকে পড়ে হামাসের যোদ্ধারা। অন্তত ১১৭০ জন ইসরাইলির মৃত্যু হয় এই হামলায়। শতাধিক ইসরাইলিকে পণবন্দি করে হামাস।
ছয় মাস ধরে চলতে থাকা এ সংঘর্ষে অন্তত ৩৩ হাজার ১৭৫ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। ইসরাইলের দাবি, ১২ হাজার হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে তাদের সেনা। যদিও হামাসের পক্ষ থেকে এ সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি।
অন্যদিকে ২৬০ জন ইসরাইলি সেনার মৃত্যু হয়েছে। ইসরাইলি পণবন্দিদের মধ্যে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ১২ জনের দেহ ফেরত পাঠিয়েছে হামাস।