দৈ. কি.ডেস্ক : জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময় সরব থাকেন। ছাত্রআন্দোলনে ভয়কে জয় করে ছাত্রদের পাশে থাকতে সর্বদা দেখা গেছে তাকে। এখনও তিনি কোনো অন্যায় হলে দু কলম লিখতে দ্বিধা করেন না। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) দুজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাকে লজ্জার ও বেদনার বললেন এ নির্মাতা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ফারুকী লিখেছেন, ‘তুমি যদি স্বাধীনতার মর্ম না বোঝো, তাহলে তুমি স্বাধীনতার স্বাদ হারাবে। আব্বার কাছে শুনতাম, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অনেকের মধ্যেই জোশ চলে আসছিলো যে সে-ই সব। সে নিজেই অভিযোগকারী, নিজেই বিচারক, নিজেই এক্সিকিউশনার। হাতে অস্ত্র আছে অথবা আছে মবের শক্তি। সুতরাং মারো, মেরে ফেলো। ফল কী হয়েছিলো আমরা জানি।’
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার অবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আচ্ছা স্বাধীনতার পর না হয় একটা বিশৃংখল অবস্থা ছিলো, এমন কি যখন আওয়ামী লীগের কঠিন আঁটুনির ভেতর আটকা ছিলো দেশ, তখনও কি আমরা বাড্ডার এক মাকে ছেলেধরা সন্দেহে মারি নাই? রংপুরে নামাজের পর এক মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষকে মেরে পুড়িয়ে দেই নাই?’
নতুন স্বাধীনতা প্রাপ্তির বিষয়টা উল্লেখ করে নির্মাতা জানালেন, ‘আমি আশা করছিলাম, এই নতুন স্বাধীনতা প্রাপ্তির সাথে সাথে নতুন দায়িত্বের ব্যাপারটা আমরা উপলব্ধি করবো। আমাদের দিলে রহম জিনিসটা আসবে। একশ জন মববাজি করতে আসলে দুজন হলেও রুখে দাঁড়াবে! ঢাকা আর জাহাঙ্গীরনগরে কি এরকম চারজন ছাত্র ছিলো না রুখে দাঁড়ানোর? এটা লজ্জার, বেদনার।
‘সবাই দায়িত্ব নিই চলেন। মববাজি বন্ধ করেন। ফ্যাসিবাদিদের ফাও আলোচনার বিষয় উপহার দেয়া থেকে বিরত থাকেন। প্লিজ। আলোচনাটা থাকতে দেন রিফর্মে, ফ্যাসিবাদের বিচারে।’
উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদ গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। পরে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) চোর সন্দেহে এক যুবককেও পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।