মিনার সুলতান
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। দেশের যুদ্ধপীড়িত জনগণের মনোবল চাঙ্গা রাখতে অনুপ্রেরণামুলক পরিবেশনা রেডিওতে প্রচার করা হতো। রেডিও এর মাধ্যমেই সাধারণ জনগণ স্বাধীনতা যুদ্ধের খবর জানতেন। এছাড়া বিশ্ব জনমত তৈরি করতে বাংলাদেশের পাশাপাশি উন্নত বিশ্বের গণমাধ্যম উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নৃশংসতা বিশ্ববাসীর কাছে তুলেই ধরে গণমাধ্যম।
বাংলাদেশে একটা সময় গণমাধ্যম ও সরকার একে অন্যের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল ছিল । কিন্তু দিন দিন সরকার ও গণমাধ্যমের মধ্যে দূরত্ব বৃদ্ধি পায়। দূরত্ব বৃদ্ধিতে সরকারের যেমন দায় ছিল তেমনি দায় ছিল নির্দিষ্ট কিছু গণমাধ্যমের । বিশেষ করে ৭৫ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। জাতির পিতার হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হওয়ার পর দেশে গণমাধ্যম চাইলে অনেক কিছু করতে পারতো কিন্তু তারা তৎকালীন সামরিক সরকারের সাথে আপোষ করে নেয়। তাদের এই আপোষ করার মানসিকতাকে পুঁজি করে গণমাধ্যমের বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে সামরিক শাসক জিয়া, এরশাদ ও বিএনপি।
বাংলাদেশে গণমাধ্যম শুরু থেকেই মিশ্র অবস্থার মধ্য দিয়ে গেছে। সাংবাদিকরা কেমন থাকবে এটা নির্ভর করে ক্ষমতায় কোন দল আছে তার উপর। সামরিক শাসনের সময় সাংবাদিকতা সবচেয়ে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেছে। সার্বিক তথ্য উপাত্ত দেখলে জানা যায় অন্যান্য শাসনামলের চেয়ে আওয়ামী লীগের সময় সাংবাদিকরা বেশি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে।
আওয়ামী লীগ সরকার সরকারে থাকুক কিংবা না থাকুক গঠনমূলক সমালোচনা মেনে নেয়। যা তাদের রাজনৈতিক সহিষ্ণুতার বহিঃপ্রকাশ। আওয়ামী লীগের সময় গণমাধ্যমের বিকাশ চোখে পরার মতো। সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের যে স্বপ্ন দেখছে তা বাস্তবায়নে গণমাধ্যমের ভুমিকা গুরুত্বপূর্ণ হবে। সরকার এবং জনগণের মাঝে সেতু বন্ধন হিসেবে কাজ করে গণমাধ্যম ।
১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল বিএনপি। এসময়ে সরাদেশে অন্তত ২০ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়। আর ৪৫০ জন সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হন। শুধুমাত্র ২০০২ ও ২০০৩ সালের মধ্যে ১৫৮ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়৷ কুষ্টিয়ায় মানবকণ্ঠের এক সাংবাদিকের আঙুল কেটে নেওয়া হয়েছিল৷ ইকবাল সোবহান চৌধুরীর নেতৃত্বে হওয়া সাংবাদিকদের এক সমাবেশে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছিল৷ বিএনপি আমলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল একুশে টিভি, এই চ্যানেলের চট্টগ্রাম স্টেশনে ছাত্রদলের ক্যাডাররা ঢুকে সাংবাদিকদের পিটিয়েছিলো। বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর বাসসের ৪০ জন সাংবাদিকের চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। রেডিও, টেলিভিশনের অনেক সাংবাদিককে চাকুরি ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিলো।
সেসময়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপির আমলে ২০০১ সালে দক্ষিণাঞ্চলে কোনো সাংবাদিক যেতে পারতো না। কোনো সংবাদ পরিবেশন করতে পারতো না। একমাত্র জনকণ্ঠ পত্রিকা জোর করে কিছু সংবাদ পরিবেশন করতো। তাদের কিছু সাংবাদিক গোপনে যেত এবং তথ্য আনতো। পরবর্তীতে তাদের দেখাদেখি অনেক পত্রিকা সংবাদ পরিবেশন শুরু করে। এটা হলো বাস্তবতা। গৌরনদী থেকে একটা গ্রুপ কোটালিপাড়ায় এসে আশ্রয় নিয়েছে ৭১’ এর মতো। বিএনপির নির্যাতনের সঙ্গে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেই নির্যাতন চালিয়েছিল শুধু সেটার সঙ্গেই তুলনা করা যায়।’
শাহরিয়ার কবির বাংলাদেশে মানবাধিকার বিষয়ক সাংবাদিক হিসেবে বহু বছর ধরে লেখালেখি করছেন। সরকার কর্তৃক বেআইনি আক্রমণ বলে অভিহিত করা হলেও ২০০০-এর দশকের শুরুর দিকে তাকে দুবার গ্রেপ্তার করা হয়। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এর খালেদা জিয়া সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০১ সালের নভেম্বরে তিনি প্রথম গ্রেপ্তার হন। তিনি ২০০১-এর অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলার তদন্ত করছিলেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধে অংশ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মন্ত্রীকে অভিযুক্ত করলে সরকার তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ এবং "সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার" অভিযোগ আনে। অতঃপর ২০০২ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি জামিনে মুক্তি পান। পরের মাসে ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে তার জন্য আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বোমা নিক্ষেপ করা হলে এক প্রত্যক্ষদর্শী নিহত হয়।
বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর বাসসের ৪০ জন সাংবাদিককে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করেছিল, বিএনপির আমলেই খুলনায় হুমায়ন কবির, মানিক, হারুনসহ অনেক সাংবাদিক খুন হয়েছেন এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। জিয়া-খালেদাসহ যারাই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলো সবার আমলেই সাংবাদিকরা নির্যাতিত এবং খুন হয়েছেন। তাদের সময় সাংবাদিকদের কোনো স্বাধীনতা ছিলো না।
২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করে এবং তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠা করে। যুগান্তকারী এ উদ্যোগের মাধ্যমে কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে গণমাধ্যমকর্মীসহ আপামর জনসাধারণের জন্য চাহিদা অনুযায়ী তথ্য পাওয়ার একটি আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠিত হয়। সরকারি-বেসরকারি অফিসে আইনে বেঁধে দেয়া সময়সীমার মধ্যে সাংবাদিকদের চাহিদা মোতাবেক তথ্য দিতে বাধ্য। এভাবে আইনটি এসব অফিসের কার্যক্রম পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
দুর্নীতি দমনে গণমাধ্যমের ভূমিকাকে আরও শক্তিশালী করতে সরকার পেনাল কোড সংশোধন করেছে। সংশোধিত পেনাল কোডের অধীনে সম্পাকদের বিরুদ্ধে কোনো মানহানি মামলায় আদালতের সমন ছাড়া শুধু পুলিশি ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করা যায় না। এ ধরনের আইনি সুরক্ষা দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে ভূমিকা রাখছে। সাংবাদিকরা এখন একেবারে নির্ভয়ে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সাংবাদিক, লেখক ও ব্লগারদের ওপর কুচক্রীমহল, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ও জঙ্গিদের হামলার ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাগ্রহণের প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের হামলা অনেক কমে এসেছে। পত্রপত্রিকা সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে নিয়ে গঠিত বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল সংবাদপ্রকাশের প্রেক্ষিতে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। সংবাদপত্রের মালিকরা বিদেশ থেকে বিনাশুল্কে নিউজপ্রিন্ট ও অন্য প্রিন্টিং সামগ্রী আমদানি করতে পারেন।
সাংবাদিকদের ওয়েজবোর্ডের ঘোষণা অনুযায়ী বেতন-ভাতা দিয়ে থাকেন মালিকরা। সরকার, সাংবাদিক ও মালিক প্রতিনিধিদের নিয়ে ইতোমধ্যে নবম ওয়েজবোর্ড গঠন করা হয়েছে। সরকার বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোর সাংবাদিক, ক্যামেরাপারসন ও অন্য সহযোগী কর্মীদের ওয়েজবোর্ডে অন্তর্ভুক্তির কথা ভাবছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় গণমাধ্যমকে আরও গণমুখী করতে জাতীয় অনলাইন নীতিমালা অনুসরণে এ পর্যন্ত ৮৫টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং দেশের প্রতিষ্ঠিত ৯২টি পত্রিকার অনলাইন নিউজ ভার্সনকে অনুমোদন দিয়েছে। তথ্য অধিদফতর মন্ত্রণালয় অনুমোদিত এসব অনলাইন নিউজ সার্ভিসের নিবন্ধন তদারকি করছে। এ ধরনের আরও অনলাইন গণমাধ্যম অনুমোদন দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এসব অনলাইন গণমাধ্যম দেখভালের দায়িত্বে থাকবে জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা ২০১৪ অনুসরণে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আওতায় প্রতিষ্ঠিতব্য স্বাধীন সম্প্রচার কমিশন।
সরকারের গণমাধ্যমবান্ধব নীতির সুবাদে সারাদেশে বিপুল সংখ্যক পত্রপত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে। চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী দেশে মিডিয়াভুক্ত পত্রপত্রিকার সংখ্যা সাতশোর বেশি। এদের মধ্যে দৈনিক পত্রিকা ৫৬০টি, যার মধ্যে ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয় ২৫৫টি। শেখ হাসিনার সরকার ঘোষিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ দেশে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রসারে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। রাষ্ট্রপরিচালিত বাংলাদেশ টেলিভিশনের পাশাপাশি বিটিভি ওয়ার্ল্ড, বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র (সিটিভি) ও সংসদ টেলিভিশন সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সিটিভির অনুসরণে অন্যসব বিভাগে পর্যায়ক্রমে টিভিকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
বাংলাদেশ বেতার ১২টি আঞ্চলিক কেন্দ্রের মাধ্যমে সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের পাশাপাশি সরকার এ পর্যন্ত ৪৫টি বেসরকারি টিভি চ্যানেল, ২৭টি এফএম বেতার ও ৩১টি কমিউনিটি বেতারকে লাইসেন্স প্রদান করেছে। এর মধ্যে ৩১টি বেসরকারি টিভি চ্যানেল, ২২টি এফএম বেতার ও ১৭টি কমিউনিটি বেতারকেন্দ্র বর্তমানে সম্প্রচারে রয়েছে এবং অন্যরা সম্প্রচারের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনুষ্ঠান ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ থেকে দূরদর্শন ফ্রি ডিসের মাধ্যমে সারা ভারতে সম্প্রচার করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর উৎক্ষেপণ দেশের গণমাধ্যম অঙ্গনকে শক্তিশালী করেছে। দেশে টিভি চ্যানেলগুলো এখন অনেক কম খরচে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ব্যবহার করে সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপেণ করা হলে এ সুবিধা আরও বৃদ্ধি পাবে।
দেশে ক্রমবর্ধমান গণমাধ্যম অঙ্গনের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পেশাগত মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে সারাদেশে সাংবাদিকদের জন্য প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোত সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারীরা বিভিন্ন মিডিয়া হাউজে কাজের সুযোগ পাচ্ছেন। ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জন্য দক্ষ জনবল তৈরি করতে ২০১৪ সালে সরকার বাংলাদেশ সিনেমা এবং টেলিভিশন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করে। প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশিক্ষণে নিয়োজিত প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
গণমাধ্যমকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের লক্ষ্যে রাজধানীর সার্কিট হাউজ রোডে ১০৪ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৬ তলাবিশিষ্ট তথ্যভবন নির্মাণ করা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে অত্যাধুনিক তথ্য কমপ্লেক্স নির্মাণে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সাংবাদিকদের পেশাগত সহায়তা প্রদানকারী শীর্ষ সরকারি সংস্থা- তথ্য অধিদফতর সিলেট, বরিশাল, ময়মনসিংহ ও রংপুরে বিভাগীয় অফিস স্থাপন করছে। এর মাধ্যমে সকল বিভাগে তথ্য অধিদফতরের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হয়।
প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া- উভয় গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা তাদের নিজেদের কর্মস্থলে চাকরির অনিশ্চয়তায় ভোগেন, আর তাও স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্য হুমকি। তাদের চাকরির এ অনিশ্চয়তা দূর করতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় প্রণয়ণ করতে যাচ্ছে গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) আইন যা বর্তমানে অনুমোদনের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সাংবাদিকদের আবাসনের জন্য বিশেষ প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন গণমাধ্যমবান্ধব বর্তমান সরকারের আরেকটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সরকারি অনুদানে পরিচালিত এ ট্রাস্টের আওতায় ২০১১-১২ সাল থেকে পাঁচ হাজার ২৬৩ জন অসচ্ছল সাংবাদিককে ১৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে।
করোনা মহামারিতেও সাংবাদিকদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন। করোনাভাইরাস মহামারিতে আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত প্রতি সাংবাদিক পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে মোট তিন কোটি ৬৬ লাখ ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের জন্য বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টকে ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুদান হিসেবে ১০ কোটি টাকা প্রদান করেন, যা বর্তমানে বিতরণ করা হচ্ছে।
লেখক: গণমাধ্যমকর্মী।