নিজস্ব প্রতিবেদক
মনোনয়নের ঝুটঝামেলা শেষ, উৎসবের মধ্য দিয়ে প্রতীক বরাদ্দও হয়ে গেলো, এখন প্রচারের উৎসব শুরু হয়েছে। এদিকে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সর্বশেষ নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হবে কিনা সেটা ভোটের পরই বুঝা যাবে। সে নিয়ে এখনই মন্তব্য করার সুযোগ নেই। তবে দৃশ্যত তাদের প্রতিটা কর্মকাণ্ড এখন পর্যন্ত নিরপেক্ষ বলে দাবি সাবেক কমিশনারদের। রাজনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা বলছেন, যারা নির্বাচনে এলেন না তারাও বুঝতে পারবেন কী ভুল তারা করেছেন।
নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচনটা সুন্দর হোক, সুষ্ঠু হোক, বহির্বিশ্বেও নির্বাচনটা একটা ভালো গ্রহণযোগ্যতা পাক, সেই প্রত্যাশা সবার মতো আমাদেরও আছে। কিন্তু আমরা আমাদের তরফ থেকে নির্বাচনটাকে ফ্রি, ফেয়ার এবং পিসফুল এই তিনটা জিনিসের ওপর আমরা খুব জোর দিয়েছি।’
নির্বাচনের সব কাজই মোটামোটি সম্পাদন হয়েছে, এখন কেবল বাস্তবায়ন উল্লেখ করে মো শাহনেওয়ার, সাবেক নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে চলেছে। প্রাক নির্বাচন কাজগুলো নিরপেক্ষতার মধ্য দিয়ে সম্পাদন করেছে। বাকীটা ভোটের পর বুঝা যাবে। তবে তারা বারবার নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন করার আশ্বাস দিচ্ছেন, জনগণের উচিত হবে ভোটকেন্দ্রে যাওয়া এবং নিজেদের অধিকার অনুযায়ী ভোট দেওয়ার সুযোগটা নেওয়া।’
নিরাপত্তাবিশ্লেষক লে জে (অব) আব্দুর রশীদ বলেন, ‘পুরোবিশ্ব এবার বাংলাদেশের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। এবার যুক্তরাষ্ট্র স্যাংশনের কথা বলে বিষয়টিকে অনেক বেশি আলোচনায় নিয়ে এসেছে। নিয়ম মেনে সুষ্ঠুভাবে সব সম্পাদিত হতে দেখে বিদেশি পর্যবেক্ষণরা ইতোমধ্যে আশ্বস্ত হয়েছে বলে আমাদের বিশ্বাস। এবং আগামীতে সব সমালোচনা দুরে ঠেলে দিয়ে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সক্ষম হবে নির্বাচন কমিশন সেটাই প্রত্যাশা।’
ট্রেনে যারা উঠেননি তারা ভুল করেছেন উল্লেখ করে সুভাষ সিংহ রায় বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে বহুদিন পর উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা যাচ্ছে সারা দেশে। এবারের নির্বাচনে অনেক জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব প্রার্থী হওয়ায় আগ্রহ বেড়েছে। তরুণদের উপস্থিতিতে সেটা চোখে পড়ার মতো উৎসব হয়ে উঠবে। জনগণের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশেই হচ্ছে নির্বাচন, কোন দল এলো, না এলো সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।’