ডেস্ক: রমজানের শুরু থেকেই রাজধানীর বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। ক্রেতারা যেমন দামের সঙ্গে তাল করতে পারছেন না, মাংস বিক্রেতারাও তেমনই বলছেন যে তারা এমন পরিস্থিতি আগে দেখেননি। তবে অবাক করা বিষয় হল এই পরিস্থিতিতেও কোথাও কোথাও আবার ৬০০ টাকা ধরেও বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস।
বিক্রেতাদের কেউ কেউ প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬০০ টাকায় বিক্রি করছেন, অনেকেই আবার দাম হাঁকছেন কেজিপ্রতি ৮০০ টাকা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাজারে সরবরাহ বাড়াতে না পারলে গরুর মাংসের দামে অস্থিরতা দূর করা কঠিন হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মগবাজার, পলাশী বাজার, হাতিরপুল বাজার ও নিউমার্কেট কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিক্রেতারা প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি করছেন ৭২০ থেকে ৮০০ টাকায়। আবার মালিবাগ, রামপুরা ও শাহজাহানপুর বাজারের কিছু বিক্রেতা গরুর মাংসের দাম রাখছেন প্রতি কেজি ৬০০ টাকা। এ ছাড়া সরকারিভাবে রাজধানীর ৩০টি স্থানে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি দরে।
একসময় পবিত্র রমজানের আগে ঢাকা সিটি করপোরেশন গরুর মাংসের দাম নির্ধারণ করে দিত। দুই বছর ধরে মাংস ব্যবসায়ীরা নিজেরাই মাংসের দাম ঠিক করেছেন, যা খুচরা বিক্রেতারা অনুসরণ করতেন। তবে এখন বিভিন্ন বাজারে বিভিন্ন দামে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। এ নিয়ে বিক্রেতারাও খানিকটা বিভ্রান্ত।
বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মুর্তজা বলেন, বিক্রেতারা এখন কেউ কারও কথা শোনার মতো অবস্থায় নেই। একেকজন একেক দরে মাংস বিক্রি করছেন। বিক্রির ধরনের ওপর নির্ভর করে দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে। ক্রেতারা দেখেশুনে কিনলেও এ পরিস্থিতিতে বাজারে একধরনের ‘ফাঁকি’ তৈরি হয়েছে। তাতে অনেক ক্রেতা ঠকছেন বলেও মনে করেন তিনি।
গরুর মাংসের মতো খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। সরকার দাবি করে দেশে মাংসের উৎপাদন ভালো। কিন্তু বাজারে দাম কমছে না। এমন পরিস্থিতিতে ক্রেতাদের স্বস্তি দিতে সরকার ভারত থেকে গরু আমদানির উদ্যোগ নিতে পারে। তাহলে দামে এর প্রভাব পড়বে। আমদানি খুলে দেওয়ার পর বেশ কিছু পণ্যের দাম কমার ঘটনা আমরা দেখেছি।