প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ৫, ২০২৪, ১২:২১ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ মে ১১, ২০২৪, ২:১৮ অপরাহ্ণ
গর্ভবতী অবস্থায় ডেঙ্গুজ্বর হলে করণীয়
গর্ভবতীরা গর্ভাবস্থার যে কোনো সময় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে বেশি থাকেন। এ সময় ডেঙ্গু জ্বর হলে এ ভাইরাস মা থেকে ভ্রূণে ছড়াতে পারে। যদি মা আক্রান্ত হয়, বিশেষ করে গর্ভাবস্থার শেষের দিকে এবং প্রসবের সময় ডেঙ্গু জ্বর হয়, তখন আরও এটি খারাপ রূপে প্রকাশিত হয়। ফলে গর্ভের শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
গর্ভাবস্থার প্রথম কয়েক সপ্তাহে ডেঙ্গু হলে দ্রুত গর্ভপাত ঘটতে পারে। এর সঙ্গে প্রসবের আগে এবং প্রসবোত্তর রক্তপাত বেশি হতে পারে। প্রিএক্ল্যাম্পসিয়া এবং এক্লাম্পসিয়া অর্থাৎ গর্ভাবস্থায় ও প্রসবের পর উচ্চরক্তচাপ উভয়ই থাকতে পারে। এ প্রভাবগুলো ছাড়াও ডেঙ্গু ভাইরাস মায়ের অন্যান্য অঙ্গগুলোর ক্ষতি করতে পারে। যেমন লিভার এবং কিডনিকে অকার্যকর করতে পারে, বা গুরুতর শ্বাসকষ্ট, শ্বাসযন্ত্রের ব্যর্থতা বা ARDS (একিউট রেসপিরেটরি ডিসট্রেস সিন্ড্রোম) সৃষ্টি করতে পারে। গর্ভবতীর অন্যান্য রোগের তুলনায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু হার বেশি থাকে।
করণীয় :
- বর্তমানে ডেঙ্গুর উচ্চ হারের জন্য যেকোনো অন্তঃসত্ত্বা নারী জ্বরে আক্রান্ত হলে প্রথম বা দ্বিতীয় দিনেই ডেঙ্গু এনএসওয়ান অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করান।
- অন্তঃসত্ত্বা নারীর ডেঙ্গু হলে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।
- জ্বর ও ব্যথানাশক হিসেবে শুধু প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে।
- স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল খাবার খেতে হবে।
- হিমোগ্লোবিন কমে গেলে ফ্রেশ ব্লাড দেওয়া যেতে পারে।
- প্লাটিলেট অনেক কমে গেলে বা দ্রুত সিজারিয়ান অপারেশন করার প্রয়োজন হলে প্লাটিলেট দিতে হতে পারে।
- সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত একজন মেডিসিন ও একজন গাইনি বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিতে হবে।
প্রতিরোধে কী করণীয় :
বাড়ির আশপাশে, বারান্দায় জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে এডিস মশা ডিম পাড়ে। তাই যেখানে পানি জমে থাকে, যেমন ফুলের টব, ডাবের খোসা, অব্যবহৃত পাত্র ও পরিত্যক্ত গাড়ির টায়ার ইত্যাদিতে যেন পানি জমে না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ফ্রিজ বা এয়ারকন্ডিশনারে জমে থাকা পানিও নিয়মিত ফেলে দিতে হবে।
বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। মশার ঘরে প্রবেশ ঠেকাতে সকাল ও সন্ধ্যায় দরজা–জানালা বন্ধ রাখতে হবে। প্রয়োজনে জানালার বাইরে নেট ব্যবহার করা যেতে পারে।
এডিস মশা যেখানে লুকিয়ে থাকে যেমন খাটের নিচে, দরজার পেছনে, পর্দার আড়ালে, রান্নাঘর; এসব জায়গায় মশানাশক স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। স্প্রে করার পর ২০-৩০ মিনিট রুমের বাইরে থাকতে হবে।
শরীরের অনাবৃত অংশ হাত–পায়ে মশা ঠেকানো ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। দিনের বেলা ঘুমানোর আগে অবশ্যই মশারি টানাতে হবে।
Copyright © 2024 Dainik Kishoreganj. All rights reserved.