দৈ. কি.ডেস্ক : গাজায় ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইসরাইল যে আচরণ করেছে তা সুস্পষ্ট গণহত্যার শামিল। ইসরাইল গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করলেও এ বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ সংগ্রহের কথা জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
গত নয় মাস ধরে সংগৃহীত তথ্যের বিশদ বিবরণ সম্বলিত ২৯৬ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি বলেছে, জাতিসংঘের গণহত্যা কনভেনশনের অধীনে নিষিদ্ধ পাঁচটি চুক্তির মধ্যে তিনটি লঙ্ঘন করেছে ইসরাইলের সরকার এবং তাদের সেনারা। প্রতিবেদনটিতে ফিলিস্তিনি বেসামরিকদের গণহত্যাসহ তাদের ওপর চালানো গুরুতর শারীরিক ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ফিলিস্তিনিদের ওপর ব্যাপক নৃশংসতা চালানোর মাধ্যমে সম্পূর্ণ বা আংশিক গাজাবাসীর মানসিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যামনেস্টি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন।
এতে বলা হয়, মাসের পর মাস ধরে গাজাবাসীর সাথে ইসরাইল যে আচরণ করছে তা মানবিক মর্যাদা ও অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন অ্যামনেস্টির মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড। সংস্থাটি বলছে, গাজায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। তাদের সেনারা কখনও স্থল আবার কখনও আকাশ থেকে বোমা মেরে গুড়িয়ে দিচ্ছে বেসামরিকদের অবকাঠামো। এর মাধ্যমে ইসরাইল বেসামরিকদের তাদের ঘরবাড়ি থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করছে। পাশাপাশি গাজায় মানবিক সাহায্য বিতরণের পথে বাধার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপস্থাপিত প্রমাণ থেকে এটা সহজেই অনুমান করা যায় যে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলের সামরিক অভিযান গাজাবাসীর বিরুদ্ধে গণহত্যার একটি অভিপ্রায় ছিল। যার পর থেকে গাজায় নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে চলেছে ইসরাইল। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত গাজার ৪৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের বেশির ভাগই নারী এবং শিশু। পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক গাজাবাসী।