গুলি-মর্টার শেলের আওয়াজে ঘুম ভেঙেছে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং সীমান্তের মানুষের। আজ শনিবার ভোরে মিয়ানমারের কুমিরখালী সীমান্তচৌকির কাছে গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এপারের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লম্বাবিল ও উনচিপ্রাং এলাকার বিভিন্ন বাসাবাড়িতে গুলি এসে পড়েছে।
উনচিপ্রাং এলাকার বাসিন্দা মাহমুদুল করিম বলেন, আজ ভোর পাঁচটা থেকে সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি শুরু হয়। কিছুক্ষণ পরপর মর্টার শেলের ভারী বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। এ সময় কেঁপে ওঠে এপারের বসতবাড়ি। আজ সকালে কয়েকটি বাড়ির উঠানে গুলি পাওয়া গেছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।এদিকে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের রহমতের বিল সীমান্ত ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু শান্ত ছিল। সেখানকার মানুষ গতরাতে কোনো গোলযোগের খবর পাননি।
আরকান আর্মির হামলার মুখে সে দেশের বিজিপি, সেনাবাহিনী, শুল্ক কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সংস্থার অন্তত ৩৩০ জন বাংলাদেশের সীমান্তে ঢুকে আশ্রয় নেন। তাঁরা বর্তমানে বিজিবির হেফাজতে রয়েছেন। আকাশ কিংবা নদীপথে তাঁদের সে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা চলছে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে হোয়াইক্যং সীমান্তের ওপারে হামলা জোরদার হয়। এর রেশ এসে পড়ছে বাংলাদেশে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরের সংঘর্ষের গোলাবারুদ সীমান্তের এপারে এসে পড়ে প্রকম্পিত হচ্ছে লোকালয়। তিনি আরও বলেন, ওপারের গোলাগুলি ও ভারী বিস্ফোরণে খুব আতঙ্কে আছে এলাকার লোকজন। কেউ কেউ সীমান্ত এলাকা ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান করছেন।