নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংক আমাদের আটটি প্রতিষ্ঠান জবরদখল করেছে। এসব প্রতিষ্ঠান তাদের মতো করে চালাচ্ছে। পুলিশের কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইলেও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। আমরা ভয়ংকর পরিস্থিতিতে আছি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকম ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। মিরপুর ১ নম্বরে চিড়িয়াখানা সড়কে গ্রামীণ টেলিকম ভবন। এই ভবনে ড. ইউনূসের ১৬টি কোম্পানি রয়েছে। যার প্রতিটির চেয়ারম্যান তিনি নিজেই। সংবাদ সম্মেলনের পর দখল হয়ে যাওয়া ৮টি ভবনের তালা ভেঙে অফিস করেছেন কর্মকর্তারা। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, গ্রামীণ কল্যাণের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম মঈনুদ্দিন চৌধুরী।
সূত্র জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় গ্রামীণ ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা ওই ভবনে যান। তারা গ্রামীণ কল্যাণ ও গ্রামীণ টেলিকম কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ নেন। এ সময় আটটি প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেয় গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তবে এ নিয়ে বুধবার পর্যন্ত তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য দেয়নি। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ শক্তি, গ্রামীণ সামগ্রী, গ্রীন ফান্ড, গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশন, গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশন এবং গ্রামীণ উদ্যোগ। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম জানান, ব্রিফিংয়ের পর আমরা তালা ভেঙে অফিসে ঢুকেছি। সারাদিন অফিসও করেছি। ওই পক্ষের (দখলদার) কাউকে দেখা যায়নি।
ড. ইউনূস বলেন, এভাবে দেশ চলছে কীভাবে। আমাদের বিরুদ্ধে ঝাড়ুমিছিল হচ্ছে।
এ বিষয়ে আদালতে শরণাপন্ন হবেন বলে জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ব্যবসার মুনাফার টাকায় এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায় হয়নি। যা হয়েছে আইন মেনে হয়েছে বলে জানান তিনি।