ধর্ষণের বিচারসহ ৫ দফা দাবিতে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ করেছে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সপোর্ট চত্বরে ধ্বনির দপ্তর সম্পাদক ফাইজা মেহজাবিন প্রিয়ন্তির সঞ্চালনায় এই প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ পালন করা হয়।
প্রতিবাদী সমাবেশে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক প্রাপ্তি তাপসী বলেন, এই ধর্ষণ কোনো বিচ্ছিন্ন কর্মকাণ্ড নয়। আমরা দেখেছি এই ধরনের অভিযোগ বারংবার আসার পরেও সে অভিযোগের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠিত হয় কিন্তু তদন্তের রিপোর্ট পেশ করা হয় না।
তিনি আরও বলেন, যে প্রশাসন চাঁদাবাজি, ছিনতাইয়ের অভিযোগ আসার পরেও চুপ করে বসে থাকে শিক্ষার্থীরা সেই প্রশাসনকে মান্য করে না। ধর্ষণকাণ্ডের দায় এই প্রশাসনকে নিতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে সব জনসাধারণের জন্য নিরাপদ করতে হবে।
সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি শরন এহসান বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে ধর্ষণের ঘটনার পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এবং তার প্রেক্ষিতে মুহুর্মুহু যে সব তথ্য উঠে আসছে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে, মাদক, চোরাকারবারি এবং অভারল ক্যাম্পাসের শিক্ষাব্যবস্থা কিংবা প্রশাসনিক কার্যক্রম নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। এই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা যারা সংস্কৃতি কর্মী, আমরা জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সংস্কৃতি কর্মী রয়েছি, আমরা শিল্পের মাধ্যমেই আমাদের প্রতিবাদের ভাষা তুলে ধরতে সর্বদা চেষ্টা করি।
এর আগে ৪ ফেব্রুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট তাদের পক্ষ থেকে ৫ দফা দাবি উত্থাপন করে। দফাগুলো হলো- চলমান ধর্ষণের ঘটনার সুষ্ঠু সুরাহা এবং জড়িত সকলকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে, যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল কার্যকর করে পূর্বের সব অভিযোগ নিষ্পত্তির বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার পূর্বক দায়িত্ব অবহেলাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে, হল থেকে অছাত্রদের বিতারণ করে সিট সংকট নিরসন করতে হবে, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের দৌরাত্ম্য নিরসনে পদক্ষেপ নিতে হবে।