উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়ে ফেরার পথে খুলনার দৌলতপুর থানা বিএনপির সদস্য সচিব শেখ ইমাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর পর রাতভর থানায় নির্যাতন চালিয়ে ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগের স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। বুধবার খুলনা বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন অভিযোগ করেন, হাইকোর্ট থেকে সব মামলায় আগাম জামিন নিয়ে সোমবার ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ইমাম হোসেন। রাতে বাড়ির সামনে থেকে বিনা কারণে তাঁকে আটক করে দৌলতপুর পুলিশ। এর পর নির্যাতন এবং পুলিশ হেফাজতে হত্যার হুমকি দিয়ে ৬ জানুয়ারি রাতে দৌলতপুরের পাবলা দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগের মামলায়স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে বাধ্য করা হয়।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ওই ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। ৭ বা ৮ জানুয়ারি গণমাধ্যমে কেন্দ্রেটিতে অগ্নিসংযোগের কোনো সংবাদ প্রকাশিত হয়নি। শুধু বিএনপি নেতাকর্মীকে হয়রানি করতে মিথ্যা অগ্নিসংযোগের নাটক সাজানো হয়েছে। আগে এ মামলায় সন্দেহজনকভাবে গ্রেপ্তার করে জাসাস মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার নূর ইসলাম বাচ্চু ও বিএনপি নেতা মো. রিয়াজুল ইসলামকে সীমাহীন নির্যাতন করেও পুলিশের শেখানো স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পারেনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবরে ঢাকায় মহাসমাবেশের পর থেকে আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। দায়ের করা হয়েছে মহানগর ও জেলা জেলা মিলিয়ে প্রায় ৫০টি গায়েবি মামলা। আসামি করা হয়েছে প্রায় ৫ হাজারের বেশি বিএনপি নেতাকর্মীকে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপি আহবায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, স. ম আ রহমান, সাইফুর রহমান মিন্টু, বেগম রেহেনা ঈসা, কাজী মাহমুদ আলী, বদরুল আনাম খান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, আশরাফুল আলম খান নান্নু, একরামুল হক হেলাল, শেখ সাদী, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ প্রমুখ।