এবারের বিপিএলে প্রথম সেঞ্চুরিটি হাঁকান তাওহীদ হৃদয়। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের এই ব্যাটার গতকাল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে আউট হন শূন্য রানে। হৃদয়ের ব্যর্থতার দিনে এই আাসরে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন তারই সতীর্থ উইল জ্যাকস। ইংলিশ ব্যাটিং অলরাউন্ডারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে রেকর্ডগড়া সংগ্রহ পায় কুমিল্লা। এরপর মঈন আলীর হ্যাটট্রিকে চট্টগ্রামকে বড় ব্যবধানে হারায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দলটি। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে উইল জ্যাকসের সেঞ্চুরি এবং মঈন আলীর ফিফটিতে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রানের টার্গেট দেয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। জবাবে ১৬৬ রানেই গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ইনিংস। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৮৬ রান তোলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক লিটন দাস এবং উইল জ্যাকস। শহীদুল ইসলামের করা ৭.৫ ওভারে ৩১ বলে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৬০ রানে লিটন আউট হলে ভাঙে এই জুটি। পরের বলেই তাওহীদ হৃদয়কে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন শহীদুল।
৮৬ রানে দুই উইকেট হারানো কুমিল্লা তৃতীয় উইকেটটি হারায় ১১১ রানে। ১১ বলে ১০ রান করে আউট হন ব্রুক গেস্ট। এরপর পঞ্চম উইকেটে স্বদেশি মঈন আলীর সঙ্গে ১২৮ রানের জুটি গড়েন জ্যাকস। ২৪ বলে ২ চার ৫ ছক্কায় ৫৩* রান করেন মঈন। আর ম্যাচসেরা উইল জ্যাকস ১০৮ রানে অপরাজিত থাকেন। ৫৩ বলের ইনিংসটি ৫ চার ও ১০ ছক্কায় হাঁকান এই ওপেনার। জ্যাকস-মঈনের নৈপুণ্যে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স পায় ২৩৯ রানের রেকর্ডগড়া সংগ্রহ। বিপিএলে এটা যৌথভাবে সর্বোচ্চ রানের দলীয় ইনিংস। এর আগে ২০১৯ সালে রংপুর রাইডার্স এই চট্টগ্রামের বিপক্ষেই ২৩৯ রান তুলেছিল। কুমিল্লার ইনিংসে দুটি উইকেট পাওয়া শহীদুল ইসলাম ৪ ওভারে ৪৯ রান খরচ করেন। ২ ওভারে ২৩ রান দিয়ে এক উইকেট নেন সৈকত আলী। রান তাড়ায় ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু পায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সও। ওপেনিং জুটিতে ৮০ রান তোলেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম এবং জশ ব্রাউন। ৭.৩ ওভারে তানজিদ ২৪ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৪১ রানে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। দলীয় সংগ্রহে ১০ রান যোগ হতেই ফেরেন আরেক ওপেনার জশ ব্রাউন। ২৩ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৬ রান করেন তিনি। দুই ওপেনার সাজঘরে ফিরলে বাকিদের মধ্যে সৈকত আলী ছাড়া আর কেউ সুবিধা করতে পারেননি। ১১ বলে ১ চার ও ৫ ছক্কায় ৩৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। এছাড়া অধিনায়ক শুভাগত হোম ১৯, শাহাদাত হোসেন ১২ এবং টম ব্রুস ১১ রান করেন। বাকিদের কেউ ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের কোঠা। ৩.৩ ওভারে ২৩ রানের খরচায় ৪ উইকেট নেন মঈন আলী হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ১৭তম ওভারে। ওভারের প্রথম তিন বলে শহীদুল ইসলাম (২), আল আমিন হোসেন (০) এবং বিলাল খানকে (০) ফিরিয়ে চট্টগ্রামকে অলআউট করে ফেলেন ইংলিশ অলরাউন্ডার। বিপিএলের চলতি আসরে দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক করলেন মঈন। উদ্বোধনী ম্যাচে মঈনের দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে প্রথম হ্যাটট্রিকটি করেছিলেন দুর্দান্ত ঢাকার শরিফুল ইসলাম।
মঈনের হ্যাটট্রিকের দিনে চার উইকেট নেন রিশাদ হোসেনও। ৪ ওভারে ২২ রান খরচ করেন তিনি। দুটি উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান।