ঢাকা২৭ জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  1. ! Без рубрики
  2. Echt Geld Casino
  3. test2
  4. অপরাধ
  5. অর্থনীতি
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আরো
  8. এক্সক্লুসিভ
  9. খেলাধুলা
  10. জাতীয়
  11. তথ্য প্রযুক্তি
  12. দেশজুড়ে
  13. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  14. বাণিজ্য
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঝরে পড়া রোধে বর্তমান সরকারের ভূমিকা

admin
নভেম্বর ২৯, ২০২৩ ৭:৫০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

অধ্যাপক ড. বিপ্লব মল্লিক

 

শিক্ষা জীবনকে আলোকিত করে, বিকশিত করে এবং পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে। আর প্রাথমিক শিক্ষার মধ্যমেই শিশুর আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সূচনা হয়। মৌলিক পাঠদানও শুরু হয় প্রাথমিক থেকে। এজন্য শিশুর মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সরকার এবং পরিবার প্রত্যেকেরই দায়িত্ব। এ লক্ষ্যেই ১৯৯০ সালে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা আইন পাশ করা হয় যার উদ্দেশ্য ছিল মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষায় সকল শিশুর শতভাগ উপস্থিতি এবং ঝরে পড়ার হার হ্রাস করা।

 

১৯৯০ সালে বাধ্যতামূলক আইন পাশ করা হলেও এর যথাযথ বাস্তবায়নের অভাবে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতি বা ঝরে পড়ার হার খুব একটা কমানো যায়নি। তবে বর্তমান সরকারের নানামুখী উদ্যোগের ফলে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার অনেকটাই কমে এসেছে।

 

ব্যানবেইসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০০৫ সালে যেখানে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে ঝরে পড়ার হার ছিল ৪৭.২% সেখানে ২০২২ সালে ১৩.৯৫% নেমে এসেছে। অর্থাৎ প্রাথমিক শিক্ষাচক্র শেষ করার হার ৮৬.০৫%। প্রাথমিকের পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চ স্তরেও পরিস্থিতির বেশ উন্নতি হয়েছে।

 

অধিকন্তু ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের পুনরায় বিদ্যালয়মুখী করার জন্য সরকারের একটি অন্যতম উদ্যোগ ছিল রিচিং আউট অব স্কুল চিল্ড্রেন (রস্ক) নামক একটি প্রকল্প যা ‘আনন্দ স্কুল’ নামে পরিচিত। এ বিদ্যালয়ের মাধ্যমে শিশুরা ২য় বারের মতো প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করা সুযোগ পায়।

 

প্রথমে যদিও এ বিদ্যালয়গুলোর যাত্রা শুরু হয় গ্রামে তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার কারণে এসডিজির মূল স্লোগান Leave no one Behind সামনে রেখে আনন্দ স্কুল সম্প্রসারিত হয় শহরের বস্তি এলাকায়। ফলে বস্তির সুবিধা বঞ্চিত শিশুরাও প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে এবং প্রাথমিক স্তর শেষ করে মাধ্যমিকে ভর্তি হচ্ছে।

 

শুধু তাই নয় প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের বিদ্যালয়ে অবস্থান নিশ্চিত করতে অ্যাসিস্টিভ ডিভাইস বিতরণসহ সুবিধা বঞ্চিত গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট আইন ২০১২ প্রণয়ন করা হয়। এর সাথে বিনামূল্যে বই বিতরন, উপবৃত্তি, মিড-ডে মিল চালুকরণের মতো প্রচেষ্টাসমূহ ঝরে পড়ার হার হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

 

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার বয়স হয়েছে, এমন ৯৭ ভাগের বেশি শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া সত্ত্বেও প্রাথমিক স্তর শেষ করার আগেই এবং মাধ্যমিক স্তরে পড়াকালীন সময়েও অনেকেরই ঝরে যাওয়ার প্রবনতা লক্ষ্য করা যায়। ফলে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে অনেকেই পদার্পণ করতে পারেনা যা একটি দেশের জন্য কখনও কাম্য হতে পারে না।

 

একটু যদি পেছনে ফিরে তাকাই তাহলে দেখতে পাবো এমন এক সময় ছিল যখন শিশুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির পর আর্থিক, সামাজিক ও পারিবারিকসহ নানা কারণে পাঁচ বছরমেয়াদি প্রাথমিক শিক্ষাচক্র শেষ করতে পারতো না।

 

লেখাপড়া শিশুদের কাছে যতটুকু আকর্ষণীয় করার কথা ছিল বিভিন্ন কারনে শিশুদের সেরকম পাঠদানের পরিবেশও বিদ্যালয়গুলোতে ছিল না। ফলে অনেক শিশু বিদ্যালয়ে যেতে আগ্রহ দেখাতো না বা এক সময় লেখাপড়া শেষ করার আগেই একটু একটু করে ঝরে পড়তো। এছাড়া স্কুলের অনুন্নত ভৌত অবকাঠামো, শিক্ষকের আচরণ বা দৃষ্টিভঙ্গি, শিক্ষকের পাঠদান পদ্ধতি, পিতা-মাতার অসচেতনতা, তাদের দরিদ্রতা, মেয়ে শিশুদের বাল্য বিবাহ, শিক্ষার্থীদের বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ের দূরত্ব কিংবা বিদ্যালয়ে যাতায়াতে অসুবিধা বা আকর্ষণীয় পাঠ্যবইয়ের অভাব শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়বিমূখ করতো।

 

বর্তমান সরকার শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং ঝরে পড়া রোধ করতে পিইডিপি-৪ প্রকল্পের আওতায় বিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, ৪০ হাজার অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ, শিক্ষক এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ, আধুনিক শিক্ষা উপকরণ হিসেবে ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ও স্পিকার বিতরণ, ৮০ হাজার শিক্ষকে আইসিটি উপকরণ কেনার সহজ ঋণসুবিধার প্রদান, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

 

এছাড়া উক্ত প্রকল্পের আওতায় আনা হবে প্রাথমিক শিক্ষার সুযোগবহির্ভূত ১০ লাখ শিশুকে। ফলে আশা করা যায় অচিরেই শিক্ষার গুণগতমান যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি ঝরে পড়ার হার দ্রুতু কমে আসবে। সবশেষে একথা বলা যায় যে, বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে শীঘ্রই শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তির বৃদ্ধি, ঝরে পড়া হ্রাস, শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধি এবং ছেলেমেয়ের সমতা সৃষ্টির মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করবে।

 

লেখক: চেয়াম্যান, শিক্ষা বিভাগ এবং ডিন, শিক্ষা বিজ্ঞান অনুষদ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।