দৈ. কি.ডেস্ক : ঈদের পরে বাজারে ডিমের চাহিদা বেড়েছে। পাশাপাশি দেশব্যাপী তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে খামারে মুরগি মারা গেছে। এই দুই কারণে বেড়েছে ডিমের দাম। গত পাঁচ দিনের ব্যবধানের প্রতি ডজন ডিমের দাম ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। একই সঙ্গে দাম বেড়েছে মুরগিরও।
ঢাকার বাজারে ডজন প্রতি ডিম বিক্রি হয়েছিলো ১২০ টাকা। কিন্তু পাঁচদিনের ব্যবধানে ডজনে ২০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। পাশাপাশি পাড়া মহল্লার দোকানগুলোতে প্রতি ডজন ডিম ১৪৫ টাকায় বিক্রি হতেও দেখা যায়। খুচরায় প্রতিটি ডিমের দাম পড়ে ১১ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ১২ টাকা।
৪ দিন আগে ১২০ টাকায় বিক্রি হওয়া ডিমের ডজনে ২০ টাকা বেড়ে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। আর ১১০ টাকায় বিক্রি হওয়া সাদা ডিম ডজনে ১৫ টাকা বেড়ে প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়।
ধামরাইয়ের ডিম উৎপাদনকারী জানান, গরমের কারনে অনেক মুরগি মারা গেছে। তাই ডিম উৎপাদনে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। তার প্রভাব পড়েছে বাজারে। খুচরায় একটি ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১১ থেকে ১২ টাকা। কিন্তু আমরা প্রতিটি ডিমের খুচরা মূল্য পাচ্ছি ৯ টাকা ৫০ পয়সা কিংবা তার থেকে একটু বেশি।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার বলেন, সারাদেশে ডিমের দাম নির্ধারণ করে তেজগাঁও আড়তমালিকরা। হুট করে তারা দাম কমিয়ে দিয়ে খামারিদের থেকে ডিম নিয়ে হিমাগারে সংরক্ষণ করে, এরপর আবার দাম বাড়িয়ে মুনাফা করে।