ডেস্ক:গত বছর ঠিক এ সময়েরই কথা। বিপিএলের নবম আসর সবেমাত্র শেষ হয়েছে। তার মাস তিনেক আগে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে আসা ইংল্যান্ড দল তখন বাংলাদেশে। সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টি দলটি তখন নতুন দিনের গান গাইছিল। দক্ষতা, সাহস, আত্মবিশ্বাসের অফুরান সম্ভাবনার স্লোগান সাকিবদের মুখে। মন্থরগতির টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে মুক্তির তীব্র ঘোষণা ছিল তাতে। হারলেও মেরে খেলে হারব—খেলোয়াড়দের মধ্যে ভাবনাটা ছিল এমন। এক বছর আগের সেই বদলে যাওয়ার ভাবনা থেকেই ২০ ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের পরিবর্তনের শুরু।
কাগজে–কলমে স্পিন দক্ষতায় শ্রীলঙ্কারই এগিয়ে থাকার কথা। দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দলটির অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা আজ একাদশে ফিরবেন। তবে বাঁ পায়ে চোট পেয়ে আজকের ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছেন শ্রীলঙ্কার পেসার মাতিশা পাতিরানা। প্রথম দুই ম্যাচে তেমন কিছু করতে না পারা মহীশ তিকশানাও আজ কার্যকর হয়ে উঠতে পারেন। বাংলাদেশের স্পিনাররাও নিজেদের চেনাতে চাইবেন। বিশেষ করে শেখ মেহেদী হাসান, প্রথম দুই ম্যাচেই যিনি রান দিয়েছেন ৩০-এর বেশি, উইকেট মাত্র ১টি। শুষ্ক কন্ডিশন তাঁকেও কার্যকর করে তুলবে। রিশাদ হোসেনের লেগ স্পিন তো আছেই। ব্যাটিং আর পেস বোলিংয়ের শক্তি বোঝাতে যে নিয়ামক আছে, এই সিরিজে সব খানেই শ্রীলঙ্কার চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ।
পরের গল্পটা তো রেকর্ডেই আছে। ঘরের মাঠে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ধবলধোলাই। এরপর আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে বাংলাদেশ বছরটা শেষ করে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ ড্র করে। ২০ ওভারের মারদাঙ্গা ক্রিকেটে ধারাবাহিক হওয়াটা বেশ কঠিনই। কঠিন কাজটাই এক বছর ধরে করছেন নাজমুল-হৃদয়রা। ১-১–এ ঝুলতে থাকা চলমান শ্রীলঙ্কা সিরিজের শেষ ম্যাচের আগেও দলের একটাই চাওয়া—টি-টোয়েন্টিতে এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখা।
নাজমুলদের ভাবনায় আজ তাই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের মতো দাপুটে জয় ছাড়া অন্য কিছু থাকার কথা না।