দৈ. কি.ডেস্ক : ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বারুইগ্রাম চৌরাস্তা (বারুইগ্রাম মাদ্রাসার দক্ষিণ পাশের) ত্বাবীব এন্টারপ্রাইজ নামক ইলেক্ট্রনিক শো-রুম থেকে পরিকল্পিতভাবে শুক্রবার (৩১ মে) জুম্মার নামাজের পর দুঃসাহসিক লুটের ঘটনা ঘটে। ত্বাবীব এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মোঃ জোনায়েদ প্রতিদিনের মত শুক্রবার জুম্মার নামাজ আদায় শেষে শো-রুমে আসেন।
নান্দাইল মডেল থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, জুম্মার নামাজের পর বেলা ৩টার দিকে ১৪/১৫জন লোক একটি টিম একটি পিকআপ এবং ৪/৫টি মোটরসাইকেলে করে দোকানে প্রবেশ করে দোকানের ম্যানেজারের ব্যবহৃত মোবাইলটি নিয়ে যায় ও তাকে প্রাণনাশের হুমকী প্রদান করে এবং ডাক চিৎকার করলে মেরে ফেলবে বলে একজন ম্যানেজারের গলায় ছুড়ি ধরে রাখে। তখন ম্যানেজার ভয়ে কিছুই বলতে পারে নাই। সাথে থাকায় অন্যরা দোকানে থাকা ৯টি মিনিষ্টার কোম্পানীর ফ্রীজ যার আনুমানিক মূল্য ৩ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা, ওয়েলমেক্স কোম্পানীর এলইডি ৪২ ইঞ্চি ২টি, ৩২ ইঞ্চি ৬টি ও ২৪ ইঞ্চি ৬টি মোট ১৪টি যার আনুমানিক মূল্য- ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।
এছাড়াও রাইস কুকার, ব্যালেন্ডার সহ বিভিন্ন ধরনের ইলেক্ট্রনিক মালামাল যার আনুমানিক মূল্য ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা লুট করে পিকআপ গাড়িতে করে নিয়ে যায়। এবিষয়ে ত্বাবীব এন্টারপ্রাইজের মালিক কামরুজ্জামান রাসেল জানান, আমি ব্যবসায়িক কাজে বাহিরে ছিলাম। ঘটনার পর খরব পেয়েই সাথে সাথে শো-রুমে এসে দেখি দোকানে সমস্ত মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এবিষয়ে চন্ডীপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন ভূইঁয়াকে অবহিত করলে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং বিষয়টি নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মজিদকে সেল ফোনে অবহিত করেন। ঘটনার সংবাদ পেয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। উক্ত ঘটনায় নান্দাইল চৌরাস্তার ব্যবসায়ী মহলে আতংক বিরাজ করছে। ব্যবসায়ীরা অভিলম্বে লুন্ডিত মালামাল উদ্ধার সহ ঘটনার সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতার আনার জোরদাবী জানিয়েছেন।