দৈ. কি.ডেস্ক : হাওর অধ্যুষিত কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার মৃগা ইউনিয়নের লাইমপাশা গ্রাম হয়ে বয়ে গেছে নামাখুরা নদী। নদীটির ওপর নির্মিত হচ্ছে ৪৯৪ মিটার দৈর্ঘ্যের নামাখুরা সেতু। এটি নির্মাণ হলে ইটনা উপজেলার সঙ্গে কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ ও হবিগঞ্জ জেলার যোগাযোগ খাতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।
গ্রামের বাসিন্দারা বলছেন, নামাখুরা নদীতে নৌকায় পারাপার হতে হয়। সামান্য বৃষ্টি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে বন্ধ হয়ে যায় নদী পারাপার। ফলে শিক্ষার্থী, কৃষক, ব্যবসায়ী, রোগীসহ সাধারণ মানুষকে পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। খেয়া বন্ধ থাকলে জরুরি প্রয়োজনে জেলা সদরে যেতে প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরে পৌঁছাতে হয়। এতে লক্ষাধিক মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। জনভোগান্তি দূর করতে নামাখুরা নদীতে ৪৯৪ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বর্তমানে সেতুর কাজ ৪০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। সেতু নির্মাণের পর তাদের ভোগান্তি হবে লাঘব।
সরেজমিন জানা যায়, ২০২৩ সালে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। সেতুটি দৃশ্যমান হচ্ছে। সড়কের সঙ্গে যুক্ত করতে চলছে অ্যাপ্রোচের কাজ। ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে অ্যাপ্রোচ সড়কসহ সেতুটি। ২০২৬ সালে সেতুটির কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে মধ্যেই সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হবে। এতে উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাবে।
মৃগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ দারুল ইসলাম বলেন, সেতুটি শুধু আমাদের লাইমপাশার না। সেতুটি নির্মাণ হলে ৪ জেলার মানুষের সাথে যোগাযোগ হবে। সময়ের সাশ্রয় হবে। সিলেট ও ময়মনসিংহের মানুষের সাথে আমাদের যোগাযোগ কম সময়ের মধ্যে হবে। দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা এখন ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার মমিনুল হক সেলিম বলেন, বরাদ্দপ্রাপ্তি সাপেক্ষে নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই কাজ সম্পন্ন করবো। বরাদ্দ পাচ্ছি না। এছাড়া এলজিইডিতে আমার ১৫ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। বিল পাচ্ছি না।
ইটনা উপজেলা প্রকৌশলী ননী গোপাল দাস বলেন, সেতুটি নির্মাণ করা হলে কৃষিপন্য ধান, পাট, গম, আলু, মরিচ, বাদাম, ভুট্টা এবং হাওরেরর মাছ বিভিন্ন জায়গায় অতিদ্রুত পৌঁছানো যাবে। এতে অত্র এলাকায় আর্থ-সামজিক উন্নয়ন ঘটবে। এছাড়াও স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের সুব্যবস্থা হবে, ফলে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে।
কিশোরগঞ্জ স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের (এলজিডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, নানা বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে কাজটি পুরোদমে এগিয়ে যাচ্ছে। আশা করতেছি নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই আমরা কাজটা শেষ করতে পারবো। ঠিকাদার পর্যাপ্ত মালামাল মজুদ করেছে। কাজ সমাপ্তের পরে আমরা চূড়ান্ত বিল পরিশোধ করবো।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।