পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, প্রতি বার দানবাক্স খোলার পরই এমন শত শত চিঠি জমা পড়ে। কেউ তাদের ইচ্ছা পূরণের কথা লেখেন, কেউ আবার তাদের আবেগ তুলে ধরেন চিঠির মাধ্যমে।
‘হে আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিন তুমি আমার মেয়েকে সুস্থ করে দাও, তুমি তাকে বসার তৌফিক দাও, হাঁটার তৌফিক দাও, তার চোখের সমস্যা, মাথার সমস্যা দূর করে দাও। হে আল্লাহ তোমার কাছে আমার মেয়ের সুস্থ জীবন ভিক্ষা চাই।’
মেয়ের সুস্থতা কামনায় এক ব্যক্তি এমনই এক আবেগঘন চিঠি লিখে কিশোরগঞ্জের আলোচিত পাগলা মসজিদের দানবাক্সে দিয়েছেন। টাকা, স্বর্ণালংকারের পাশাপাশি এমন কয়েক শ’ চিঠি পাওয়া গেছে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে।
নিঃসন্তান এক মা সন্তান কামনায়ও চিঠি লিখেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আল্লাহ তুমি রহমতের মালিক, তোমার কাছে যা আশা করেছিলাম এবং পাগলা মসজিদের উপর বিশ্বাস রেখেছিলাম, সেগুলো পূরণ হয়েছে। এই মাসে আমার গর্ভে একটি চাঁদের আলো ফুটফুটে সন্তান দিও। আমার স্বামীর ব্যবসায় বরকত দিও।’
এ ছাড়াও দাম্পত্য জীবনের সুখ-শান্তি, ব্যবসায় উন্নতিসহ, সন্তানদের ভবিষ্যৎ উন্নতি কামনা করে শত শত চিঠি লিখেছেন অনেকে।
পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, প্রতি বার দানবাক্স খোলার পরেই এমন শত শত চিঠি জমা পড়ে। কেউ তাদের ইচ্ছা পূরণের কথা লেখেন, কেউ আবার তাদের আবেগ তুলে ধরেন চিঠির মাধ্যমে।
পাগলা মসজিদ এতিমখানার মোহতামিম মাওলানা জসিম উদ্দিন জানান, এমন শত শত চিঠি জমা পড়ে দানবাক্সগুলোতে। অনেক সময় খুব ইন্টারেস্টিং চিঠিও পাওয়া যায়, বিভিন্ন কারণে এগুলো গোপন রাখা হয় বলেও জানান তিনি।
মানুষের আবেগ-অনুভূতির অন্যতম কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে পাগলা মসজিদ। দান হিসেবে টাকা-পয়সা, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগিসহ স্বর্ণালংকারও জমা পড়ে।
মনের আশা পূরণে দোয়া চেয়ে দানের পাশাপাশি চিঠিও লেখেন অনেকে। জুমার নামাজে চিঠিদাতাসহ সবার জন্য দোয়া করা হয় পাগলা মসজিদে।