জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সরকারি কলেজগুলোকে দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বা তদারকিতে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে ঢাকার বড় সাতটি সরকারি কলেজ যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলছে, তেমনি অন্যান্য সরকারি কলেজও বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তদারকিতে চলবে।
শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোর পড়ালেখার অবস্থা ভালো না, এটি সত্য। কিন্তু সরকারি কলেজগুলো অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তদারকির আওতায় নিলে পরিস্থিতি কেমন হবে, সেটি আগেই ভাবতে হবে।
কারণ, ঢাকার বড় সাতটি সরকারি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেওয়ার পর প্রথম দিকের অভিজ্ঞতা সুখকর ছিল না। অবশ্য এখন পরিস্থিতি আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে। তাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধানে সামগ্রিকভাবে পরিকল্পনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আগেই পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না নিলে পরে নতুন করে সমস্যার আশঙ্কা আছে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর প্রথম আলোকে বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের কাছে এখনো করণীয় বিষয়ে বলা হয়নি। তবে তিনি এই প্রস্তাবের পক্ষে। কিন্তু পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়ে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করলে ভালো হবে।
এ নিয়ে টানাটানির মধ্যে ২০২৩-২৪ নতুন শিক্ষাবর্ষেও মূল ক্যাম্পাসে স্নাতকে (সম্মান) শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ নিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় ১১ ফেব্রুয়ারি এই কার্যক্রমও বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে ইউজিসি। ইউজিসি বলছে, এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতির নির্দেশনার আগপর্যন্ত ভর্তিসহ এ-সংক্রান্ত সব কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।