দৈ. কি.ডেস্ক : নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা করে ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা মোখলেছুর রহমান বিমানকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম। এর আগে বৃহস্পতিবার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জহরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন—রণচণ্ডী ইউনিয়নের উত্তর বাফলা গ্রামের মৃত ওমর আলীর ছেলে মোকলেছুর রহমান বিমান (৪২)। তিনি রণচণ্ডী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি, রণচণ্ডী উত্তরপাড়ার আবুল কালামের ছেলে ও ১ নম্বর ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম (২৫), রণচণ্ডী উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও একই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউর রহমান (৪৫), রণচণ্ডী অবিলের বাজারপাড়া এলাকার বিশাদুর ছেলে লাভলু হোসেন মেম্বার ওরফে কলাই লাভলু (৪৮), রণচণ্ডী বাজারপাড়া এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে মমিনুর রহমান (৪০), রণচণ্ডী বাজারপাড়া এলাকার বাবু মিয়া, বাফলা গ্রামের মৃত মফেল উদ্দিনের ছেলে হাবিব ইসলাম (৪২), সোনাকুড়ি এলাকার কেড়ি মিয়ার ছেলে শিজু (৪০), রণচণ্ডী দক্ষিণ পাড়া এলাকার মৃত বছির উদ্দিনের ছেলে মো ফারজু (২৫), রণচণ্ডী উত্তরপাড়া এলাকার মৃত কুদ্দুসের ছেলে সাহেব আলী (২৫), বাফলা মাছুয়া পাড়া এলাকার আফসার আলী বাদল (৬০) প্রমুখ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে যুবলীগের সভাপতি বিমান নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মীকে নিয়ে বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে গোপন বৈঠক করছেন। পরে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে যুবলীগ নেতা বিমানকে আটক করেন। তাঁকে আটক করে পুলিশের সিভিল মাইক্রোবাসে ওঠার সময়ে আসামিরা দলবদ্ধ হয়ে তাঁকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে কর্তব্যরত পুলিশের ওপর হামলা করে তারা। তারা ইট-পাটকেল দিয়ে পুলিশের সিভিল গাড়িতে ভাঙচুর করে। এতে চারজন পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে পুলিশের জরুরি একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে বিমানকে থানায় নিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ যুবলীগ নেতা বিমানকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার সময় তাঁর সমর্থকেরা পুলিশের ওপর হামলা করে তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তাদের ইট পাটকেলের ঢিলে অভিযানে থাকা পুলিশের সিভিল গাড়িটি ভাঙচুর হয়, চারজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলমান আছে।’