পুরো গাজায় আকাশপথে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। শনিবার এই হামলার সময় সেখানে বৃষ্টি হয়। এতে রাফায় অবস্থানকারী প্রায় ১৩ লাখ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। খান ইউনুসে অবস্থিত সবচেয়ে বড় নাসের হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে বিপুল সংখ্যক মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরাইলের নৃশংস সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার নাসের হাসপাতাল ঘিরে ফেলে ইসরাইলি বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কিদরা বলেন, নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের ভিতর থেকে বিপুল সংখ্যক মেডিকেল স্টাফকে আটক করেছে দখলদার বাহিনী। এই হাসপাতালকে তারা সামরিক ঘাঁটিতে পরিণত করেছে।
তারা নাসের হাসপাতালে উগ্রপন্থিদের সন্ধান করছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা গ্রেপ্তার করেছে কমপক্ষে ১০০ স্টাফকে। হাসপাতালের কাছে বেশ কয়েকজনকে হত্যা করেছে তারা। তাদের দাবি, হাসপাতালের ভিতরে অস্ত্র পাওয়া গেছে। তবে মেডিকেল স্থাপনাকে ব্যবহারের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস। হাসপাতালে ইসরাইলি সেনাদের প্রবেশ উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে রোগী, মেডিকেল স্টাফ এবং আশ্রয় নেয়া লোকজনের মধ্যে। এ সপ্তাহের শুরুর দিকে এই হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ। এ ছাড়া ওই এলাকায় শীতের ভীষণ ঠাণ্ডায় আশ্রয় নেয়া লোকজনের অবস্থাকে আরও করুণ করে তুলেছে। বাস্তুচ্যুতদের অনেকের তাঁবু বাতাসে উড়িয়ে নিয়েছে। বৃষ্টি অন্যদের তাঁবুতে দুর্ভোগ বাড়িয়েছে।
ওদিকে শনিবার মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি সৌদি আরবের কাছে যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তিনি বলেন, আমাদের দৃষ্টি এখন যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার। গাজার সাধারণ মানুষের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেয়ার দিকে আমাদের দৃষ্টি। সৌদি আরব বার বার এটা পরিষ্কার করেছে যে, যতক্ষণ পর্যন্ত স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়া না হবে, ততক্ষণ ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে না সৌদি আরব।