দৈ. কি.ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ১০ বছরের জন্য বর্গা নেওয়া জমি বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অবসরপ্রাপ্ত এক সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে। এ ছাড়া প্রতিবাদ করায় প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মোজাম্মেল হক।
আজ রোববার দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হক। তাঁর বাড়ি উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা বাগপাড়া এলাকায়। অন্যদিকে অভিযুক্ত আবুল কালাম ও একই এলাকার বাসিন্দা। তিনি অবসরপ্রাপ্ত পেশকার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ব্যবসায়ী মোজাম্মেল বলেন, ২০১৯ সালের ১ মার্চ প্রতিবেশী অবসরপ্রাপ্ত পেশকার আবুল কালামের কাছ থেকে ৬৪ শতাংশ জমি ১০ বছরের জন্য বর্গা নেন। বর্গার চুক্তি অনুযায়ী ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা এককালীন পরিশোধ করেন। বর্গার ৬৪ শতাংশ জমির মধ্যে পাটুয়াভাঙ্গা দরগাবাজারে ৪৪ শতাংশ জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু জমির মালিক আবুল কালাম গোপনে চলতি বছরের ৩ মার্চ বর্গা দেওয়া জমির মধ্যে সাড়ে তিন শতাংশ জমি অন্যত্র বিক্রি করে দেন। শুধু তাই নয়, গত ১৬ এপ্রিল জমির মালিকের নেতৃত্বে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।
এ ঘটনায় আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন মোজাম্মেল। তিনি আরও অভিযোগ করেন, মামলা দায়ের করার পর থেকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। এ অবস্থায় তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
জমির মালিক পেশকার আবুল কালাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘বর্গার চুক্তিভঙ্গ করে বর্গা গ্রহীতা জমি অন্যত্র ভাড়া দিয়েছেন। ফলে তাঁকে উচ্ছেদের জন্য উকিল নোটিশ পাঠিয়েছি। আর যে জমি বিক্রি করেছি, সেটা বর্গা গ্রহীতার সম্মতিতেই করা হয়েছে। বর্গা গ্রহীতার দোকানের যে অংশটুকু ভাঙা হয়েছে, সেটার উপযুক্ত ক্ষতিপূরণও তাকে দেওয়া হয়েছে।’