নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশ একটা সময় এমন ছিল যখন চরম উগ্রপন্থি গোষ্ঠীর প্রকাশ্যে হামলার শিকার হতে হয়েছে সাংস্কৃতিক, উদারমনা ও মুক্তচিন্তার ব্যক্তিদের। ২০০৪ সাল থেকে দেশে এই হামলার সংস্কৃতি শুরু হয় মুক্তমনা লেখক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. হুমায়ুন আজাদ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুসকেকে নৃসংশভাবে হত্যার মাধ্যমে । এর উদ্দেশ্যই ছিল বাকস্বাধীনতাকে হত্যা করা। ২০১৫ সাল পর্যন্ত উগ্রধর্মীয় গোষ্ঠীর এই অপচেষ্টার কারনে প্রাণ হারাতে হয় ৮ জন ব্লগারসহ ২২ জন ধর্মীয়নেতা ও আলোচিত ব্যক্তিত্ব। তবে সরকারের একান্ত প্রচেষ্টায় ও ব্যাপক জঙ্গিবাদবিরোধী অভিযানের কারনে হামলার ঘটনা বন্ধ হয়েছে। এর মধ্যে অনেকেরই হত্যার বিচার করা হয়েছে।
২০১৫ সালে সর্বশেষ খুনের শিকার হন ব্লগার ওয়াসিকুর রহমান। এ নিয়ে গেল ১১ বছরে ৮ ব্লগারসহ আলোচিত ২২ জন খুন হয়েছেন। চিকিৎসক, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, একই কায়দায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে অথবা গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে এদের। এছাড়া হামলার শিকার হয়ে মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গেছেন আরো ৬ ব্লগার। ব্লগারসহ খুন হওয়া বাকি ২২ জনের মধ্যে বিজ্ঞান বিষয়ক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়কে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাও হামলার শিকার হন।
২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও মুক্তচিন্তার শফিউল ইসলাম লিলনকে বাড়ির সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনে একটি ফ্ল্যাটে কুপিয়ে এবং গলা কেটে হত্যা করা হয় ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও মুক্তচিন্তার সমর্থক আশরাফুল ইসলামকে। ২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারের ১৭৪ নম্বরে নিজ বাড়িতে গলা কেটে হত্যা করা হয় ইসলামী অনুষ্ঠানের উপস্থাপক মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকীকে। ২০১৩ সালের ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর আর কে মিশন রোডের বাড়িতে কথিত ‘আধ্যাত্মিক পীর’ ইমাম মাহদীর সেনাপতি দাবিদার লুৎফর রহমান ফারুক ও তার বড় ছেলে সরোয়ার ইসলাম ফারুক, খাদেম মঞ্জুর আলম মঞ্জু, মুরিদ শাহিন, রাসেল ও মুজিবুল সরকারসহ ৬ জনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। ২০১৩ সালের ৮ আগস্ট খুলনার খালিশপুরে মুসলিম উম্মাহ সংগঠনের প্রধান ও ধর্মীয় নেতা তৈয়েবুর রহমান ও তার কিশোর ছেলে নাজমুম মনিরকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
এছাড়া ২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কবি নজরুল ইসলাম হলে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ব্লগার আরিফ রায়হান দ্বীপকে। একই বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে অগ্রণী ব্যাংকের কর্মী ও ব্লগার জাফর মুন্সিকে হত্যা করা হয়। এরপর ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্লগার মামুন হোসেন, ২ মার্চ ব্লগার জগৎ জ্যোতি তালুকদার ও ব্লগার জিয়াউদ্দিন জাকারিয়া বাবুকে হত্যা করা হয়। ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পল্লবীর কালশীর পলাশনগরে গণজাগরণ মঞ্চের উদ্যোক্তা ব্লগার রাজীব হায়দার শোভন খুন হন। ২০১০ সালে ঢাকার উত্তরায় মসজিদের ইমাম, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও জেএমবির দলছুট সদস্য রাশিদুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আর ২০০৬ সালে খুন হন বিশ্ববিদালয়ের ভূতত্ত্ব খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস তাহের, ২০০৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পাশে বিনোদপুরে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক অধ্যাপক ইউনুসকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরমাণু শক্তি কমিশনের সামনে হামলার শিকার হন সাংস্কৃতিক, উদারমনা ও মুক্তচিন্তাধারী ড. হুমায়ুন আজাদ। চাপাতি ও কুড়ালের কোপে মারাত্মক আহত ড. হুমায়ুন আজাদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ আগস্ট জার্মানির মিউনিখে মারা যান।
এছাড়া হামলায় গুরুতর জখম হয়ে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন ৬ ব্লগার। টিএসসির সামনে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয় বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়ের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে। ২০১৩ সালে ১৩ জানুয়ারি রাজধানীর উত্তরায় ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিনকে কোপানো হয়। ওই বছরের ৭ মার্চ রাতে মিরপুরের পূরবী সিনেমা হলের কাছে কুপিয়ে জখম করা হয় ব্লগার সানিউর রহমানকে। ২০১৩ সালের জুনে এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় কোপানো হয় গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ও ব্লগার রাকিব আল মামুনকে। ২০১৩ সালের ১১ আগস্ট বুয়েটের আরেক ছাত্র তন্ময় আহমেদকে কুপিয়ে জখম করা হয়। নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয়কে ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট গোরানে এবং নাজিম উদ্দিন সামাদকে ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল পুরান ঢাকায় হত্যা করা হয়।
এসব ঘটনায় ভিন্ন সময়ে ভিন্ন স্থানে খুনের শিকার হলেও সব ঘটনার মোটিভ একই দাবি করে এসব ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ প্রতিটি ঘটনাতেই ধর্মান্ধ উগ্রপন্থি গোষ্ঠীর জড়িত থাকার গন্ধ খোজেঁ পেয়েছে। জাগৃতি প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী দীপনকে ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর কুপিয়ে হত্যা করে একটি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা। ৪৩ বছর বয়সী দীপন তখন রাজধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের ভেতরে প্রকাশনীর কার্যালয়ে ছিলেন। বাংলাদেশি-মার্কিন লেখক অভিজিৎ রায়ের লেখা বই প্রকাশের কারণে তাকে হত্যা করা হয়। দীপন হত্যার আট মাস আগে অভিজিৎকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় হত্যা করা হয়। মুক্তমনা লেখক ও ব্লগারদের ওপর হামলার অংশ হিসেবেই অভিজিৎ ও দীপনের ওপর হামলা হয় বলে জানায় আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী।
২০১৩ সালে বাংলাদেশে ছোট একদল মুক্তমনা ব্লগার ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বন্ধের দাবিতে আন্দোলনের সূচনা করেন। পরবর্তীতে সন্দেহভাজন জঙ্গিরা ব্লগার ও মুক্তমনাদের ওপর হামলা শুরু করে। ‘শাহবাগ আন্দোলন’ খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ব্লগারদের ‘ইসলামবিরোধী ও নাস্তিক’ হিসেবে চিহ্নিত করে প্রচারণা শুরু হয়।এরপরই তাদের কয়েকজনকে হত্যা করা হয়। পুলিশের তদন্ত মতে, হামলাগুলোর পেছনে উদ্দেশ্য ছিল তাদের কণ্ঠ ও চিন্তাধারাকে রুদ্ধ করা।
শুধু ২০১৫ সালেই সারা দেশে অন্তত ১০ জন মুক্তমনা, ব্লগার ও তৃতীয় লিঙ্গের অধিকার নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। মাত্র ৭ মাসের ব্যবধানে ৪ জনকে হত্যা করা হয়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আল-কায়েদার আদর্শে অনুপ্রাণিত আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) বা আনসার আল ইসলাম এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী। লেখক ও ব্লগারদের হত্যার দায়ে দেশের বিভিন্ন আদালতে দায়ের হয়েছে মামলা , গ্রেপ্তার করা হয়েছে অনেককেই।
মামলাগুলোর মধ্যে, সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালত ৬ জন ব্লগারের হত্যাকাণ্ডের মামলার রায় দিয়েছেন এবং হাইকোর্ট ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারের হত্যাকাণ্ডের মামলার রায় দিয়েছেন। ব্লগারদের মধ্যে রাজীব প্রথম জঙ্গিদের হাতে নিহত হন। ৩২ বছর বয়সী রাজীব শাহবাগ আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। তাকে ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মিরপুরে তার নিজের বাসার কাছে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। দুই বছর পর ঢাকার আদালত রাজীবকে হত্যা করার জন্য ২জন এবিটি সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড ও আরও ৬ কর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়। ২০১৭ সালের ২ এপ্রিল হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন।
২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল দীপন হত্যা মামলার রায় দেন। তার স্ত্রী রাজিয়া রহমানের দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত ৮ আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।
লেখক অভিজিৎকে হত্যায় আদালত ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ৫ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড ও আরেক জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
২০২২ সালের ৩০ মার্চ সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল লেখক বিজয় হত্যায় জড়িত এবিটির ৪ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
২০১৬ সালের এপ্রিলে তৃতীয় লিঙ্গের অধিকারকর্মী জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব রাব্বি তনয়কে জুলহাসের কলাবাগানের বাসায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়। জুলহাস তৃতীয় লিঙ্গের প্রতিনিধিত্বকারী পত্রিকা ‘রূপবান’-এর সম্পাদক এবং ইউএসএইডের সাবেক কর্মকর্তা ছিলেন। তনয় ছিলেন থিয়েটার দল লোকনাট্য দলের একজন কর্মী। ২০২১ সালের ৩১ আগস্ট ঢাকার সন্ত্রাস দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নিষিদ্ধ জঙ্গি দল আনসার-আল-ইসলামের ৬ সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
২০১৫ সালের ৩০ মার্চ এবিটির ৩ জঙ্গি রামদা দিয়ে ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবুকে তেজগাঁও শিল্প এলাকায় হত্যা করে। এই হত্যা মামলা এখনো ঢাকার একটি আদালতে বিচারাধীন আছে।
নীলাদ্রি হত্যা মামলায় পুলিশ ১৩ জন এবিটি সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। গত বছরের ২২ জানুয়ারি, বিচারিক আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করেছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্র নাজিম উদ্দিন সামাদকে পুরান ঢাকায় কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। ২০২০ সালের ১৮ আগস্ট পুলিশ এই মামলায় আনসার আল ইসলামের ৯ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।
২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি দীপন হত্যা মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, লেখক, ব্লগার ও প্রকাশকদের হত্যার অংশ হিসেবে অভিজিৎ রায়ের বই প্রকাশের জন্য জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে হত্যা করা হয়। যারা বই প্রকাশের দায়ে মানুষ হত্যা করতে পারে, তারা সমাজ ও রাষ্ট্রের শত্রু। ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যায় অংশগ্রহণকারীরা বেঁচে থাকলে আনসার আল ইসলামের বিচারের বাইরে থাকা সদস্যরা একই অপরাধ করতে উৎসাহী হবে বলেও আদালত পর্যবেক্ষণ দেন।
এর ছয়দিন পর ১৬ ফেব্রুয়ারি অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণেও বিচারক বলেন, নাস্তিকতার অভিযোগ এনে নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্যরা এবং এ মামলার আসামিরাসহ মূল হামলাকারীরা নৃশংসভাবে হত্যা করে তাকে। স্বাধীনভাবে লেখালেখি ও মত প্রকাশের জন্য অভিজিৎ রায়কে নিজের জীবন দিয়ে মূল্য দিতে হয়।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে দেশে জঙ্গিবাদের মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে। কারণ, ওই ঘটনার পরে জঙ্গিরা বড় ধরনের কোনও আক্রমণ চালাতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং শীর্ষ জঙ্গি হিসেবে যাদের নাম জানা গিয়েছিল, তাদের প্রায় সকলেই বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয়েছেন। ধর্মীয় উগ্রবাদের বিস্তার ঠেকিয়ে মুক্তচিন্তার পরিবেশ রক্ষার্থে রাষ্ট্র যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা দেশের ভেতরে তো বটেই, বিদেশেও প্রশংসিত হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার বরাবরই বাকস্বাধীনতা রক্ষা করেছে। যারা সরকারের বিরুদ্ধে বরাবর বলে গেছে তাদেরও বাকস্বাধীনতা কখনো রুদ্ধ হয়নি। লেখক,ব্লগার হত্যাকারীদের বিচারের ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ সরকার করেছে, আর এতে করে সরকারের যে প্রতিশ্রুতি বাকস্বাধীনতা রক্ষায় তা প্রতিফলিত হয়েছে।’