দৈ. কি.ডেস্ক : গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পতন হয় শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের। আর এর পর থেকে দলটির নেতাকর্মী থেকে শুরু করে আত্মগোপনে রয়েছেন সুবিধাভোগী উপজেলা-ইউপি চেয়ারম্যানরাও।
ইতোমধ্যে দেশের অধিকাংশ থানাগুলোতে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নামে মামলা হয়েছে। এসব মামলায় কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের এগারোজন চেয়ারম্যানকে আসামি করা হয়েছে। যার কারণে তারা সবাই পলাতক। যদিও তাদের মধ্যে দুএকজনকে মাঝে মাঝে দেখা যাচ্ছে এলাকাতেই। তবে অফিস করছেন না কেউই।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের এমপি আফজাল হোসেনের বদৌলতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন- হালিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাসেল মিয়া, হিলচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাজহারুল হক নাহিদ, সরারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান স্বপন, পিরিজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুয়েল, কৈলাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কায়সারে হাবিব, গাজিরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুয়েল মিয়া, দিঘিরপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম, হুমাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ডলু মিয়া, বলিয়াদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, দিলালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া নোভেল ও মাইজচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাবারক মিয়াজি। তাদের মধ্যে একজন এমপি আফজারের শ্যালক ও দুইজন ভাগনে। বাকি ৮ জনও তার ‘পকেটের’ প্রার্থী ছিলেন বলেই মামলা ও জনগণের ভয়ে পলাতক আছে।
চেয়ারম্যানদের অনুপস্থিতিতে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারশিদ বিন এনাম বলেন, তিনটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ৫ আগস্টের পর থেকেই পলাতক। এসব ইউনিয়নের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের কাজগুলো সরকারি কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে চালানো হচ্ছে। বাকি আটটি ইউনিয়নে আপাতত প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে একেকজন ওয়ার্ড মেম্বার দায়িত্ব পালন করছেন। যেহেতু ইউপি চেয়ারম্যানরা অফিস করছেন না, ফলে পরিষদের কার্যক্রম চলমান রাখার স্বার্থে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে পর্যায়ক্রমে এসব ইউনিয়ন পরিদর্শনে যেতে হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।