কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়া পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিরাপদ ফসল উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। এতে কৃষক কম খরচে ফসল উৎপাদন করছে, মানুষ পাচ্ছে বিষমুক্ত শাকসবজি। রক্ষা হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্যও।
বাজিতপুর কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নকে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে আইপিএম মডেল ইউনিয়ন হিসেবে ঘোষণা করে নিরাপদ সবজি উৎপাদনের জন্য কৃষকদের সকল উপকরণ ও প্রশিক্ষণ দেয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে চলতি রবি মৌসুমে ফলোআপ হিসেবে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির সেক্স ফেরোমন ফাঁদ, হলুদ স্টিকি ট্র্যাপ, মালচিং পেপার, জৈব বালাইনাশক, নেট হাউজ ও পলিনেট হাউজ কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
কৃষকরা জানান, আগে আমরা মনগড়া কীটনাশক ব্যবহার করতাম। জৈব সার ফেরোমন ফাঁদ, হলুদ আঠালো ও মালচিং পেপার সম্পর্কে জানতাম না। এবার বাজিতপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে রাসায়নিক কীটনাশক ছাড়া জৈব বালাই পদ্ধতিতে জমিতে ফসল চাষ করেছি।
এ পদ্ধতির মাধ্যমে সবজি চাষ করে অল্প খরচে বেশি ফসল উৎপাদন করতে পাচ্ছি। ফসলের গুণগত মানও ভালো হয়। ফলে দাম পাওয়া যায় বেশি।
বাজিতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আশরাফুল আলম বলেন, সনাতন পদ্ধতির বিপরীতে পরিবেশবান্ধব সেক্স ফেরোমন ফাঁদ, হলুদ স্টিকি ট্র্যাপ, জৈব বালাইনাশক প্রযুক্তির ব্যবহার করে কৃষকদের ফসল উৎপাদন ব্যয় কমছে। পাশাপাশি সবজি ক্রেতারা পাচ্ছেন বিষমুক্ত সবজি। একই সাথে রক্ষা পাচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। নতুন এই পদ্ধতি চাষাবাদ এ অঞ্চলের কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। প্রকল্পভুক্ত চাষীদের পাশাপাশি উৎসাহিত হচ্ছেন এলাকার বিপুল সংখ্যক চাষী। পরিবেশ সুরক্ষা, সবার জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে উপজেলা কৃষি অফিস এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।